নিজস্ব প্রতিনিধি: সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচের পরেও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (ABHISHEK BANERJEE) কাছে এসেছে সিবিআই নোটিশ। বলা হয়েছে, আগামী মঙ্গলবার হাজিরা দিতে হবে। উল্লেখ্য, অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (ABHIJIT GANGULY)। সেই নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তা নিয়েই মুখ খুললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (KUNAL GHOSH)।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার কুন্তল ঘোষের দাবি ছিল, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে জোর করে অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ দিচ্ছে। এরপরে অভিযোগ জানিয়ে আদালতে তিনি চিঠিও দিয়েছিলেন। তবে তারপরে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, অভিষেক ও কুন্তলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। অভিষেক দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের। তাতেই মিলেছিল রক্ষাকবচ।
তবু এসেছে সিবিআই নোটিশ। এরপরেই কুণাল বলেন, নোটিশের সঙ্গে সিবিআইয়ের তদন্তের কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁর প্রশ্ন, একাধিক অভিযোগ থাকলেও কেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (SUVENDU ADHIKARY) গ্রেফতার করা হয়নি? বলেন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য তদন্তকে প্রভাবিত করছে। তাঁর বক্তব্য, বিচারপতির পছন্দ মতো এজেন্সি হবে। বিচারপতির পছন্দ মতো তদন্তকারী আধিকারিক নেওয়া হয়, কুণালের বক্তব্য, ‘বিচারব্যবস্থার প্রতি সম্পূর্ণ সম্মান রয়েছে। তৃণমূল মুখপাত্র আরও বলেন, সিবিআইয়ের এই নোটিশ টার্গেট ও হেনস্থা করতেই।
কুণাল বলেন, এই নোটিশ সিবিআই পাঠিয়েছে হাইকোর্টের দেওয়া গত ১৩ এপ্রিলের রায়ের ওপর ভিত্তি করে। তারপরে তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে কোনও বৈধতা নেই নোটিশের।
সবুজ শিবিরের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিপিএম, বিজেপি ও কংগ্রেসের পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন। বলেন, ব্যক্তিগত প্রচারের স্বার্থে তিনি রাজনৈতিক বার্তা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, বিচারপতি বলছেন, মাথা ধরতে হবে। বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস বলছে, মাথাকে ধরতে হবে। কুণালের প্রশ্ন, তাহলে আঁতাত আছে বলা যাবে না?
এদিন তিনি আরও বলেন, শুভেন্দু এখন একটার পর একটা ট্যুইট করছেন। আগে বিজেপি বলেছিল, শুভেন্দু চোর। কুণালের প্রশ্ন, বিজেপিতে গিয়ে এই প্রতিষ্ঠিত তোলাবাজ ভালো হয়ে গেল?