নিজস্ব প্রতিনিধি: অবশেষে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছে কুড়মিরা (KURMI)। টানা ৬ দিন পরে দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের আদ্রা ডিভিশনে চলল ট্রেন। অন্যদিকে, সড়কপথেও যান চলাচল শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, সমস্ত কুড়মি সংগঠন এই আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। অবরোধ শুরু হয়েছিল গত মঙ্গলবার থেকে। দাবি ছিল, আদিবাসী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে কুড়মিদের। সেই আন্দোলনের জেরে প্রভাব পড়েছিল ভাল। কিন্তু অবশেষে উঠে গেল সেই আন্দোলন।
মূলত পুরুলিয়া ও খেমাশুলিতে রেল এবং সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছিল কুড়মি মহাজোট। তাতে সামিল ছিল কুড়মি সমাজ নামক একটি সংগঠন। সেই সংগঠনের নেতা অজিত মাহাতো। অভিযোগ, মহাজোটের আস্থা নিয়ে ওই নেতা যৌথমঞ্চের কাগজ ব্যবহার না করে নিজেদের সংগঠনের কাগজ ব্যবহার করেছিলেন। তাঁকে বিশ্বাস করেছিলেন অন্যান্য সংগঠনের সদস্যরা।
ওই নেতা আন্দোলন প্রত্যাহার করে বলেছিলেন, পুজোর মুখে সকলের কথা মাথায় রেখে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হল। তখনই তৈরি হয়েছিল দ্বিমত। সমস্ত কুড়মি সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই আন্দোলন ছিল কুড়মিদের আদিবাসী সমাজে অন্তর্ভুক্তি এবং কুড়মালি ভাষাকে সাংবিধানিক ভাষার মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে। কেউ একক সিদ্ধান্ত নিয়ে আন্দোলন তুলতে পারে না। ‘বেইমান’ বলেও কটাক্ষ করা হয় ওই নেতাকে। তারপর আন্দোলন ও অবরোধের রাশ ধরেছিল কুড়মি ছাত্র- যুব সংগঠন। সেই অবরোধ চলেছিল দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা। জানা গিয়েছে, এই অবরোধ কর্মসূচির আগে সমস্ত সরকারি দফতরে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে আগে চিঠি দেওয়া হয়েছিল ওই নেতার সংগঠনের নামে। মূল ব্যানারও ছিল ওই সংগঠনের। যৌথমঞ্চের আন্দোলন হলেও সেই নাম ব্যবহার করা হয়নি। তাই অজিত মাহাতো নিজেদের ফ্লেক্স তুলে নিতেই তৈরি হয় মূল সমস্যা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, যে সংগঠনের পক্ষ থেকে কাগজ জমা দিয়ে দাবি জানিয়েছিলেন কুড়মিরা, সেই সংগঠন বলেছে আন্দোলন তুলে নেওয়া হয়েছে। তাই এই অবস্থান ঠিক নয়।
অভিযোগ, ছোটনাগপুর কুড়মি, কুড়মি, মাহাতো সমাজের বহু নেতা, কর্মী ও সমর্থক নিখোঁজ। অন্যদিকে আদ্রা-পুরুলিয়া শাখায় চলাচল করছে যাত্রীবাহী ট্রেন। পুরুলিয়া থেকে পণ্যবাহী ট্রেনও চলাচল করছে। সড়কপথও স্বাভাবিক হচ্ছে ধীরে ধীরে। কুড়মি সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিজেদের দাবিতে তাঁরা এখনও অনড়।