এই মুহূর্তে




খেতে ভালবাসতেন বাংলার দই আর মিষ্টি




নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলা ও বাঙালির সঙ্গে তাঁর ছিল যেন নাড়ির যোগাযোগ। সাত দশকেরও বেশি সঙ্গীত জীবনে গেয়েছেন তিনি ১৮৫টি বাংলা গান। শচীন দেববর্মণ, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে, সলিল চৌধুরীদের সঙ্গে ছিল তাঁর আত্মীক সম্পর্ক। প্রত্যেককেই শ্রদ্ধা করতেন তিনি অন্তর থেকে। একই সঙ্গে ভালবাসতেন বাংলার দই আর মিষ্টি খেতেও। বাংলা থেকে চেনা পরিচিত কেউ গেলে তাঁকে বলতেন কলকাতার দই আর মিষ্টি নিয়ে যেতে। তাঁদের সামনেই নিজে হাতে প্যাকেট খুলে খেতেন বাংলার মিষ্টি। কলকাতায় এলেও বাংলার মিষ্টির স্বাদ নিতে ভুলতেন না তিনি। হাতে সময় থাকলে ও সুযোগ মিললে প্যাকেটে করে মিষ্টি সঙ্গে নিয়ে যেতেও ভুলতেন না তিনি। রবি সকাল থেকেই এইসব কিছু ইতিহাস হয়ে গেল। রয়ে গেল শুধুই স্মৃতি। কেননা এদিন সকালেই ৯২ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন ভারতের সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লতা মঙ্গেশকরের ছিল ব্যক্তিগত ক্ষেত্রের যোগাযোগ। বাংলার ক্ষমতায় এসে লতাজিকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু সেই সময় তিনি বেশ অসুস্থ ছিলেন। অনেকটাই শয্যাশায়ী দশা। তাই তাঁর আর কলকাতায় এসে এই সম্মান নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে যদিও তিনি নিজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে ধন্যবাদ জানান। একইসঙ্গে বলেন, তাঁর আসার ইচ্ছে থাকলেও শারীরিক পরিস্থিতির কারণে সম্ভব হচ্ছে না। এদিন লতাজির চলে যাওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী সেই ঘটনার কথা আরও একবার সবাইকে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, ২০১১ সালে প্রথমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে লতাজি তাঁকে কালীমূর্তির মুখ আঁকা একটি সোনার লকেট দিয়েছিলেন। সেই লকেট আজও সযত্নে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর শোকবার্তায় জানিয়েছেন, ‘সুর সম্রাজ্ঞী ও অনন্য প্রতিভাময়ী সর্বজনশ্রদ্ধেয় লতা মঙ্গেশকর দীর্ঘ আট দশক ধরে কণ্ঠের জাদুতে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রেখেছিলেন। হিন্দি, মারাঠি, বাংলা সহ ছত্রিশটিরও বেশি ভারতীয় ও বিদেশি ভাষায় তাঁর গাওয়া অগণিত ক্লাসিকাল,গজল, ভজন, আধুনিক ও সিনেমার গান আজও সমান জনপ্রিয়। বাংলার সঙ্গীতজগতের সঙ্গে তাঁর গভীর যোগ ছিল। আমাদের নক্ষত্রদের সাধনা ও তাঁর প্রতিভা পরস্পরকে সমৃদ্ধ ও অভিষিক্ত করেছিল। ব্যক্তিগত সম্পর্কের ঊর্ধ্বে সবথেকে বড় দেশ এক রত্নকে হারাল। ৩৬ ভাষায় গান গেয়েছেন লতাজি। কিন্তু, বাংলা চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। উত্তম-সুচিত্রা-হেমন্ত বাংলা সিনেমার এই স্বর্ণযুগের লতাজির গলায় আমরা পেয়েছি একের পর এক উপহার। নচিকেতা থেকে পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে লতাজির কণ্ঠে একের পর এক কালজয়ী সৃষ্টি। এই সুর আর ফিরবে না। লতাজির গাওয়া প্রথম বাংলা ক্যাসেট আকাশ প্রদীপ জ্বলে দিয়েই ক্যাসিও বাজানো শুরু করি আমি।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

২বছর ১১ দিন পর বলাগড়ের মাটিতে পা রাখলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, পেলেন অভ্যর্থনা

বাগুইআটিতে চুরির কিনারা, বারাসতে বড়মার মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরি

হাওড়ায় পাইপ লাইনের কাজের জন্য ধস নামায় পানীয় জল সরবরাহে বিঘ্ন, চরম ভোগান্তি

করোনা-ই ভিলেন, শিশুচোর সন্দেহে ‘মা’কে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন রেলযাত্রীরা

গয়েশপুরে কাউন্সিলরের সামনেই অনুগামীকে জুতো ছুঁড়ে মারল উত্তেজিত জনতা

ধুলাগড় টোল প্লাজার কাছে প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ,ঘটনাস্থলে ১৫টি ইঞ্জিন

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর