এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘অমৃতা রায়কে দেখলে বোঝা যায় মেকলের উদ্ধৃতি কত দামী’, দাবি ব্রাত্যের

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনে(Loksabha Election 2024) নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর লোকসভা(Krishnanagar Constituency) কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী(BJP Candidate) হয়েছেন কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ির বউ অমৃতা রায়(Amrita Roy)। কিন্তু শুরু থেকেই তাঁকে ঘিরে বিতর্ক ক্রমশই বেড়ে চলেছে। একদিকে যেমন বিজেপিরই আদি কর্মী থেকে নেতারা অমৃতার সমর্থনে প্রচারে নামছেন না, তেমনি অমৃতাও সংবাদমাধ্যমের সামনে বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্ককে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এই যেমন তিনি সাম্প্রতিককালে একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সিরাজের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা না করলে সনাতন ধর্ম শেষ হয়ে যেত। ব্রিটিশদের যদি কৃষ্ণচন্দ্র সহায়তা না করতেন তাহলে ভারতীয়দের পোশাক-সংস্কৃতি সব আলাদা হত। এখানে যে সিরাজের কথা বলা হচ্ছে তিনি বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দদৌল্লা। সেই মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই ঘটনার পরে এবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী(State Education Minister) ব্রাত্য বসু(Bratya Basu) পাল্টা নিশানা বানালেন অমৃতা রায়কে। শুধু তাই নয়, কৃষ্ণনগরে ‘রানি মা’-কে রীতিমত এদিন তিনি ইতিহাসের পাঠও পড়িয়ে দিলেন।

কী বলেছেন ব্রাত্য? রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী এদিন এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘একটা বিষয় সকলের জেনে রাখা উচিত। কৃষ্ণচন্দ্রের রাজত্ব একদিকে মুর্শিদাবাদ ও অন্যদিকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ছিল। আলিবর্দি খাঁ-র বসার ক্ষেত্রেও তিনি সাহায্য করেছিলেন। এরপর বর্গীরা বাংলা আক্রমণ করল সেই সময় রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ট্যাক্স দিতে পারেননি। আলিবর্দি খাঁ তাঁকে বন্দি করেও মুক্তি দেন। কৃষ্ণচন্দ্র সাহায্য না করলেও ব্রিটিশরা আসত। উপনিবেশ হতই। তবে অমৃতা রায় কী বলেছেন জানি না। পলাশির যুদ্ধের সময় সিরাজকে সরাতে সেই সময় মিরজাফরের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র। রাতের অন্ধকারে মিটিং হয়েছিল। সেই সময় কৃষ্ণচন্দ্রই বলেছিলেন এখানে হিন্দু-মুসলিম দিয়ে শাসন হবে না। ইংরেজদের এনে বসানো উচিত। শুধু তাই নয়, নিয়ে এলেন তোলাবাজ ক্লাইভকে। উনি সবাইকে শোষণ করা শুরু করেন। কৃষ্ণচন্দ্রের অবস্থা এতটাও সচ্ছ্বল ছিল না যে টাকা দেবেন। ক্লাইভ কৃষ্ণচন্দ্রকে জেলে পাঠিয়েছিলেন। আলিবর্দি খাঁ কৃষ্ণচন্দ্রকে ক্ষমা করলেও ক্লাইভ ক্ষমা করেননি। এটাই সত্যিকারের ইতিহাস।’

পাশাপাশি ব্রাত্য আরও  বলেছেন, ‘অমৃতা রায় রাজপরিবারের মেয়ে হতেই পারেন। ওনার কথা শুনে মেকলের কথা মনে পড়েছে। উনি বাঙালিদের সম্পর্কে খারাপ কথা বলে গিয়েছিলেন। বলেছিলেন, বাঙালিদের ইংরেজি শেখাতে হবে। আমরা যদি এদের ইংরেজি শেখাই দু’ধরনের লোক তৈরি হবে। একদল ইংরেজি জানবে, অন্যদল জানবে না।  আর যাঁরা জানবে না তাঁদের ঘৃণা করবেন ইংরেজি জানারা। অর্থাৎ একসময় ইংরেজরা চলে যাবে। কিন্তু উপনিবেশ রয়ে যাবে। আর অমৃতা রায়কে দেখলে বোঝা যায় মেকলের উদ্ধৃতি কত দামী ছিল। ফলে বংশের গরিমা ও কলঙ্ক সম্পর্কে জেনে বললে ভাল হবে।’ এখন দেখার বিষয় আগামী দিনে কৃষ্ণনগরের ‘রানি-মা’ ব্রাত্য বসুর বক্তব্য থেকে কিছু শিক্ষা নেন নাকি বিতর্কিত সব মন্তব্য করে চলেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দুর্গাপুর এনআইটি ‘র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রের আত্মহত্যা, গাফিলতির দায় মেনে পদত্যাগ ডিরেক্টরের

সীমান্তবর্তী শহর বসিরহাটে নির্বাচনের আগে জোর তল্লাশি পুলিশের

সন্দেশখালিতে সিবিআই রাতের অন্ধকারে বিদেশি পিস্তল লুকিয়ে রেখে এসেছে: অখিল গিরি

বিরোধীরা বদ্ধ পাগল হয়ে গেছে দাবি প্রসূনের, তাপ প্রবাহে সুস্থ থাকার টোটকা রথীনের

তীব্র দাবদাহ থেকে পশু পাখিদের বাঁচাতে শান্তিপুরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বিশেষ উদ্যোগ

তাপপ্রবাহে স্বস্তি পেতে ভাগীরথীতে বন্ধুদের সঙ্গে জলে নেমে তলিয়ে গেল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর