নিজস্ব প্রতিনিধি,মহিষাদল: সংবাদ শিরোনামে প্রতিনিয়ত উঠে আসছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালির(Sandeshkhali) নাম।সেখানকার রাজনৈতিক ঘটনায় উতপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা। আন্দোলন, বিক্ষোভের মধ্যদিয়ে কাটছে সময়। অশান্তিকর পরিবেশ গড়ে উঠেছে। অশান্তির আঁচ যাতে বাচ্চাদের মধ্যে না পড়ে তার জন্য এলাকার বহু বাচ্চাদের রুপনারায়ন নদী পারকরিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলে।
মহিষাদল ব্লকের(Mahishadal Block) নাটশাল- ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিনে রয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম। সম্প্রতি সেই আশ্রমে সন্দেশখালির বেশ কয়েকজন ছাত্র আবাসিক হিসাবে এসেছেন। তারা নাটশাল রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম থেকে স্থানীয় নাটশাল হাইস্কুলে পড়াশোনা করছে।বাড়ি ছেড়ে এখানে পড়াশোনা করলেও এলাকার অশান্তি ও পরিবারের লোকজনদের কথা ভেবে খুব চিন্তায় ও ভয়ে রয়েছে তারা।
নাটশাল রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সভাপতি শুভজিৎ মাইতি জানান, উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের শাখা রয়েছে। তাদের মারফত কয়েকজন আশ্রমে আবাসিক হিসাবে আবেদন করে পরিকাঠামো অনুসারে আমরা ৯ জনকে রাখতে পেরেছি। তারা আবাসিক হিসাবে থাকবে এবং পাশে নাটশাল হাইস্কুলে পড়াশোনা করছে। সন্দেশখালির অশান্তির কারনেই এখানে পরিবারের লোক পাঠিয়ে দিয়েছে বলে মনে করছি আমরা। অনেকে আবেদন করেছিলেন কিন্তু সকলকে আমরা নিতে পারিনি। নাটশাল হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক বিপ্রনারায়ন পন্ডা জানান, বর্তমান শিক্ষা বর্ষে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৩০ জন টিসি নিয়ে এসে আমাদের স্কুলে ভর্তি হয়েছে।
যার মধ্যে ৭ জন সন্দেশখালির। সরকারি নিয়ম রয়েছে টিসি নিয়ে যারা পড়াশোনার জন্য আসবে তাদের স্কুলে ভর্তি করা হবে। তাই আমরা আবেদন অনুসারে ভর্তি করিয়েছি। ওরা সকলেই নাটশাল রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে থেকেই পড়াশোনা করছে। সাংবাদ মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি সন্দেশখালি অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার করনে বাড়ির বাচ্চাদের সুরক্ষিত রাখতেই পরিবারের লোকেরা এই পথ অবলম্বন করেছেন।