এই মুহূর্তে




বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধন সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে মহুয়া




নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি : সামনেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ভোটার তালিকা সংশোধন করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গেও রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। সেখানেও যাতে এই ধরনের নির্দেশ দেওয়া না হয়, সেই আবেদনও করেছেন তিনি। শুধু মহুয়া মৈত্রই নয়, এই বিষয় নিয়ে একাধিক মামলা জমা হয়েছে শীর্ষ আদালতে।

তৃণমূল সাংসদ তাঁর আবেদনে বলেছেন,  নির্বাচন কমিশন এই নির্দেশ দিয়ে দেশের সংবিধানের নিয়ম লঙ্ঘন করছে। তাঁর স্পষ্ট কথা, ভারতীয় সংবিধানের ১৪, ১৯(১), ২১, ৩২৫, ৩২৬ ধারা, জনপ্রতিনিধি আইন এবং ভোটার নিবন্ধনের নিয়ম লঙঅঘিত হচ্ছে। এই নির্দেশ দ্রুত বাতিল করতে হবে। নাহলে দেশের বহু মানুষ নাগরিকত্ব হারাবেন। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাইলে এটা সম্ভব নয়। বিহারে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা বাতিল করা হোক। পাশাপাশি অন্য কোনো রাজ্যে যাতে এই ধরনের নির্দেশ না দেওয়া হয়, তার ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আদালতে মামলার একটি নথি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তিনি। এবং জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ মামলা দায়ের করেছেন।

তাঁর কথায়, যাঁরা এর আগে একাধিকবার ভোট দিয়েছেন, তাঁদেরই আবার ভোটার হিসেবে প্রমাণ জমা করতে বলা হয়েছে। বিহারে ভোটার তালিকার সংশোধনের কথা জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এক নির্দেশিকায় কমিশনের তরফে বলা হয়েছিল, ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে যাঁদের জন্ম হয়েছে, তাঁদের জন্মতারিখ এবং জন্মস্থানের নথি জমা করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে ভোটারেরা জন্ম শংসাপত্র, পাসপোর্টের মতো নথি প্রমাণ হিসাবে জমা দিতে পারবেন। ১৯৮৭ সালে ১ জুলাইয়ের পরে যাঁরা জন্মেছেন, তাঁদের নিজের পরিচয়ের প্রমাণ করার নথির সঙ্গে বাবা-মায়েরও নথি জমা করতে হবে। কমিশনের ওই নির্দেশিকা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই নির্বাচন কমিশন কিছুটা নরম হয়েছে। ভোটার তালিকার স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন নিয়ে নতুন মন্তব্য করতে বাধ্য হয়েছিল কমিশন। বিবৃতি দিয়ে তারা জানায়, বিহারে ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় নাম থাকা ভোটারদের কোনও নথি জমা করতে হবে না। শুধু এনিউমেরেশন ফর্ম জমা করলেই হবে। ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রেও বাবা-মায়ের নথি দিতে হবে না। কিন্তু নাগরিকত্বের প্রমাণ ও এনিউমেরেশন ফর্ম জমা করতে হবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘জল ছাড়ার পরিমাণ কমাতে হবে, ফের ডিভিসি-কে চিঠি পাঠাল রাজ্য

পরিবারে রয়েছে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য, সেই বাড়িতেই ঠাঁই নেই মহিলার

এবার পাক গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার ভারতীয় সেনা জওয়ান

প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ, ভিডিও রেকর্ড করে ব্ল্যাকমেইল, গ্রেফতার ২

যৌন নিগ্রহে অভিযুক্তের ২৫ বছরের সাজা ঘোষণা করল আদালত

বাটখারা দিয়ে শাশুড়িকে খুন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ পুত্রবধূকে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ