নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা:পুনর্ভবা নদীর জলে ভাসছে ঘর-বাড়ি। ছেলে-মেয়ে, গবাদি পশু নিয়ে দিন কাটছে খোলা আকাশের নীচে। মালদহের বামনগোলার বানভাসি বটতলি গ্রামে রবিবার ত্রাণ নিয়ে পৌঁছলেন ব্লক প্রশাসনের কর্তারা।এ দিনই ত্রিপল, শুকনো খাবার, পরিস্রুত পানীয় জল নিয়ে পুনর্ভবার জলে প্লাবিত গ্রামগুলিতে নিয়ে যান বামনগোলা ব্লকের জয়েন্ট বিডিও(BDO) হাসনাত আলি, পঞ্চায়েত সমিতির নারী, শিশু ও ত্রাণ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ রাজিতা কিস্কু এবং স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা। হাসনাত আলি বলেন, “বটতলির প্রায় ১২টি পরিবারকে শুকনো খাবার, পরিস্রুত পানীয় জল, ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। তাঁদের কাছে নিয়মিত ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়া স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরাও রয়েছেন। তাঁরা স্বাস্থ্য পরিষেবাও দিচ্ছেন।”
প্রশাসনের দাবি, পুনর্ভবা নদীর জলে বামনগোলা ব্লকের(Bamongola Block) চাঁদপুর, গোবিন্দপুর-মহেশপুর এবং জগদল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ১৫টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে, চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। পুনর্ভবা নদীর জলে গ্রামের প্রায় ৬৫টি স্থানে রাস্তা কেটে গিয়েছে। ফলে, গ্রামগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। হাই স্কুল, প্রাথমিক বিদ্যালয়, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মতো সরকারি প্রতিষ্টানও জলের তলায় রয়েছে। এ দিন দুপুরে প্রশাসনের কর্তারা ত্রাণ নিয়ে পৌঁছে মানুষের পাশে দাঁড়ান।
অন্যদিকে,কালিয়াচক(Kaliyachak) চৌরঙ্গী মোড় সংলগ্ন এলাকায় অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কালিয়াচক চৌরঙ্গীর পাশে ঠুঠিয়া ব্রিজের নিকট দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় কালিয়াচক থানা পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবারের দিন কিছু লোক একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পায় ঠুঠিয়া ব্রিজে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় কালিয়াচক থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় কালিয়াচকের শ্রীরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে।