নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা:আর মাত্র কয়েকদিন বাদে শুরু হবে মালদা জেলার সবচেয়ে বড় মেলা গোবর জনা কালী মন্দিরে(Kali Temple)। বিগত দুবছর করোনা আবহাওয়া সেরকম কোন মেলা অনুষ্ঠিত হয় নি বলা যেতেই পারে । আজ বুধবার পুকুরিয়া থানা(Pukuria Police Station) পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে মেলার চারদিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখলেন পুকুরিয়া থানার ওসি গৌতম চৌধুরী সহ রতুয়া ২ নম্বর ব্লকের ব্লক আধিকারিক ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকেরা। এমনকি ফেরিঘাটের মাঝিদের সাথেও কথা বললেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। কথিত আছে ফিরিয়ে দেন না গোবরজনা কালী মাতা।
জাগ্রত এই কালী মন্দিরে ভক্তদের মনস্কামনা নাকি পূরণ হয়েই থাকে।তাই জাগ্রত কালী মন্দির হিসাবেই জেলা ও জেলার বাইরের ভক্তদের সমাগম ঘটে।শুধু মালদহ জেলা নয়, প্রতিবেশী রাজ্য বিহার, ঝাড়খন্ড থেকেও বহুভক্তের সমাগম হয়, গোরবজনা কালী (Kali)পুজোয়।কয়েক লক্ষ ভক্তদের সমাগম হয় ।জাগ্রত এই কালিপুজোয়। কালী পুজোকে কেন্দ্র করে আমবাগানের মাঝে বসে বিশাল মেলা।ভক্তদের মনস্কামনা পূরণ হওয়া ভক্তদের ঢল নামে এখানে।এখন থেকেই শুরু হয়েছে পুজোর প্রস্তুতি।কয়েক পুরুষ ধরে এই পুজোর দায়িত্ব পালন করে আসছে স্থানীয় চৌধুরীপরিবার।
তবে এই পুজোর সূচনা ঠিক কবে হয়েছিল তা অজানা সকলের কাছে।স্থানীয় লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে এই পুজো নাকি শুরু করেছিলেন দেবি চৌধুরানীর(Devi Chowdhurani) ভবানিপাঠক।ডাকাতি করার আগে নদীর তীরে ঘনজঙ্গলে এই কালী পুজো দিয়ে তিনি যেতেন।এখনো মন্দিরটি রয়েছে স্থানীয় কালিন্দ্রী নদীর(Kalindi River) তীরে।নিয়মনিষ্ঠার সাথে বর্তমানে পুজিত হয়ে আসছেন গোবরজনা কালিমাতা।গোবরজনা গ্রামের চৌধুরী পরিবারের বর্তমান সদস্যরা এই পুজো করছেন।চৌধুরী পরিবার ভাগ হয়েছে বর্তমানে।তাই প্রতিবছর পালা করে পুজোর দায়িত্ব পালন করেন বর্তমান প্রজন্ম।এই বছর পুজোর দায়িত্বে রয়েছেন স্বপন চৌধুরী(Swapan Chowdhury)।তিনি বলেন, এই পুজো ঠিক কত পুরনো তার জানা নেই আমাদের। তবে প্রতিবছর নিষ্ঠা ভরে মায়ের আরাধনার আয়োজন করা হয়।