নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা: বড়দিনের সন্ধ্যায় উৎসবের মেজাজে মেতে উঠেছিল গোটা রাজ্য।কার্নিভালের অনুষ্ঠান দেখতে পথে নেমেছিল ৮ থেকে ৮০। কিন্তু মালদাতে বড়দিনের আনন্দের মাঝখানে ছন্দপতন ঘটল।চাঁচল সদরের বাজার এলাকায় প্রসিদ্ধ একটি সোনার দোকানে(Gold Shop) ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে ,মোটর বাইকে করে এসেছিল পাঁচ জনের ডাকাত দল।প্রত্যেকের মাথায় ছিল হেলমেট।হাতে ছিল রিভলবার। ওই সোনার দোকানে যা যা গয়না ছিল সবটাই লুঠ করে তারা। লুট হওয়া সোনার গহনার নির্দিষ্ট আর্থিক পরিমাণ জানা না গেলেও পরিমাণ যে লক্ষ টাকার ঘর পার হয়ে গিয়েছে তা মনে করা হচ্ছে।
ডাকাতি করে বেরোনোর সময় শূন্যে গুলি চালায় ডাকাতেরা। যার ফলে স্থানীয় মানুষজন আতঙ্কে সামনে আসতে পারেনি। ডাকাতির(Dacoity) খবর চাউর হতেই ব্যাপক আতংক ছড়িয়ে পড়ে চাঁচল(Chachal) জুড়ে।বড়দিনের রাতে মালদহের চাঁচলে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় বিহারের দুষ্কৃতীদের যোগ থাকতে পারে বলে পুলিশ মনে করছে। দুষ্কৃতীদের সন্ধানে মালদা পুলিশের একটি টিম বিহারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। যে কায়দায় অল্প সময়ের মধ্যে লুটপাট চালানো হয়েছে তা দেখে পুলিশ মনে করছে এ পেশাদারী দুষ্কৃতীদের কাজ।
পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসী। আতঙ্ক গ্রাস করেছে ব্যবসায়ীদের।প্রশ্নের মুখে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা। যেভাবে ডাকাতেরা ভর সন্ধ্যায় বাজারে এসে গুলি চালাতে চালাতে ডাকাতি করে যায় তাতে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। উৎসবের সন্ধ্যায় বহু মানুষ ছিল রাস্তায়। বড় রকমের বিপদ ঘটে যেতে পারত বলে মনে করা হচ্ছে। ডাকাত দলকে ধাওয়া করে পুলিশ।স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তথা ব্যবসায়ী অমিতেশ পান্ডে বলেন,” এই ঘটনা সত্যি ভয়াবহ।প্রচুর টাকার গহনা লুঠ হয়েছে ওই সোনার দোকানে।যা গয়না ছিল সব ডাকতেরা নিয়ে গেছে। শূন্যে গুলি চালিয়েছে ডাকাতেরা। এত মানুষ রাস্তায় ছিল। এটা খুব আতঙ্কের। আশা করি পুলিশ দ্রুত ডাকাতদের ধরতে পারবে।”
স্থানীয় ব্যবসায়ী উত্তম সাহা জানান,” দুটি মোটর বাইকে করে পাঁচজন এসেছিল। সবার হেলমেট মাথায় দিয়ে ছিল। বেরনোর সময় গুলি চালিয়েছিল ।তাই আমরা সামনে যেতে পারিনি। কিন্তু পুলিশ কেন এত দেরিতে এল। আমাদের কোন নিরাপত্তা নেই।”ইতিমধ্যে পুলিশ তদন্ত নেমে জানতে পেরেছে ওই ডাকাত দলে ভিম জেলার দুষ্কৃতীরা থাকতে পারে। এর আগেও সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় তোর দিনাজপুর জেলার দুষ্কৃতীর সন্ধান পেয়েছিল পুলিশ।