নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা: মাদলের ছন্দে মেতে উঠুন আনন্দে,মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সারা রাজ্য জুড়ে পালিত হচ্ছে জয় জোহার মেলা।১৫ টি জেলার ১০২টি আদিবাসি অধ্যুসিত ব্লকে ৩ মার্চ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এই মেলা ।সেই মতে বামনগোলা ব্লকে পালিত হল জয় জোহার মেলা(Jai Johar Fair) । বামনগোলা ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে হচ্ছে জয় জোহার মেলা পাকুয়াহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে।বামনগোলা ব্লক (Bamongola Block)থেকে র্যালি বের হয় । সেই র্যালি গোটা পাকুয়াহাট পরিক্রমা করে স্কুল মাঠে আসে।
সেখানে প্রথমে সিদো কানু,পন্ডিত রঘুনাথ মূর্মূ , ফুলো মূর্মূ ও ঝানু মূর্মূর ছবিতে মাল্য দান করে প্রদীপ প্রজ্জলন মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানে শুভ সূচনা করা হয়। উপস্থিত ছিলেন, বামন গোলার বিডিও মনোজিৎ রায়, এডিএম অরিন্দম রায় জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা ঘোষ বর্মন, রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখার্জি, মালতীপুরের বিধায়ক(MLA) আব্দুর রহিম বক্সি, ও বিভিন্ন আধিকারিক সহ সমাজ সেবিরা। যেখানে আদিবাসী মানুষদের নিজস্ব নৃত্য পরিবেশন, গান শিল্প, ও সংস্কৃতির প্রচার, প্রসার ও প্রদর্শন এবং বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা প্রদান করা সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের স্টল করা হয়।
এদিকে,সিপিএম এবং তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তেজনা।১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে বিবাদ। কাজ না করেই টাকা প্রাপকদের তালিকায় নাম রয়েছে তৃণমূল কর্মীদের। তালিকা হাতে নিয়ে চায়ের দোকানে বসে এমনটাই অভিযোগ করেন সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য। সেই অভিযোগ শুনেই বেজায় চটে যান তৃণমূল কর্মীরা। তারপরেই বাকবিতন্ডা থেকে হাতাহাতি। সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য ও তার ছেলে এবং এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ । পাল্টা সিপিএমের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের। এই ঘটনায় দুই পক্ষের আহত মোট ৫ জন। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর(Harishchandrapur) ১ নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুরের(Rampur) ঘটনা। সিপিএমের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য লতিপুর রহমানের অভিযোগ তৃণমূল কর্মী আলফাজ হোসেন এবং তার পরিবারের লোকেরা ১০০ দিনের কাজ করেন নি।কিন্তু টাকা প্রাপকদের তালিকায় তাদের নাম রয়েছে। সেই ঘটনায় শনিবার রাত ন’টায় তিনি চায়ের দোকানে আলোচনা করছিলেন।
সেই সময় আলফাজ হোসেনের পরিবারের লোকেরা চড়াও হয় তার উপর।তাকে,তার ছেলে মিজানুর রহমান এবং এক কর্মী শেখ আলমকেও মারধর করা হয়। তিনজনেই হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল কর্মী আলফাজ হোসেনের পাল্টা দাবি সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য নতিপুর রহমান সঙ্গে তার অনুগামীরা তার পরিবারের দুই সদস্য আলাউদ্দিন এবং মহিদুল কে মারধর করেছে। তারা ১০০ দিনের কাজ করেছিল বলেই তালিকাতে নাম রয়েছে।ব্লক থেকে সেটা ভেরিফিকেশন হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। দুই পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়। সমগ্র ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। জব কার্ডে দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে নিয়ে নিশানা সিপিএমের। পাল্টা সাফাই তৃণমূলের।