এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

রায় জমিদার বাড়িতে পাঁচ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে দুর্গাপুজোর সূচনা হয়

নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা: পাঁচ রাউন্ড শূন্যে বন্দুকের গুলি চালিয়ে রায় জমিদার বাড়ির দূর্গাপুজোর সূচনা হয়। ২২৩ বছর ধরে চলে আসা এই রেওয়াজ আজও অব্যাহত মালদা জেলার পূর্বপ্রান্তে হবিবপুর থানার সিংগাবাদ তিলাসন এলাকায় সিংগাবাদ জমিদার(Jamindar) বাড়িতে। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাজনের ফলে এই জমিদারী স্টেটের সিংহভাগ অংশ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান বর্তমান বাংলাদেশে অংশে পড়লেও আজও ভারতীয় ভূখণ্ডে সীমান্তের কাঁটাতার থেকে ৫০ মিটার দূরত্বে অবস্থিত বিশাল রায় জমিদার বাড়ি।সময়ের সাথে জমিদারি চলে গিয়েছে। সুবিশাল বাড়ির বিভিন্ন অংশ জুড়ে দেখা দিয়েছে যা এখনও রয়েছে। ফাটল। কিন্তু এখনো অক্ষুন্ন রয়েছে ঐতিহ্য। সুদুর উত্তরপ্রদেশ(Uttarpradesh) থেকে ডাল ব্যবসা করতে বাংলায় এসেছিলেন অবোধ নারায়ণ রায়। মালদা জেলার হবিবপুর থানার সিঙ্গাবাদ স্টেশনে ট্রেনে করে এই ডাল নিয়ে আসেন তিনি।

এরপর নৌকাপথে সেই ডাল ঢাকা রাজশাহী সহ কলকাতার খিদিরপুর বন্দর থেকে বিক্রির জন্য যেত। ব্যবসার সুবিধার জন্য এই এলাকায় ব্রিটিশ সরকারের কাজ থেকে তৎকালীন প্রায় তিন হাজার টাকায় জমিদারীত্ব ক্রয় করেছিলেন তিনি। এরপর এই এলাকায় শুরু করেছিলেন বসবাস। পরবর্তীতে তিনজন বিপ্লবীর পরামর্শে দেবী দূর্গার আরাধনা শুরু করেছিলেন তিনি। সেই থেকে ২২৩ বছর ধরে এই পুজো হয়ে আসছে। । দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জমিদারির সিংহভাগ অংশ চলে যায় সীমান্তের কাঁটাতারের ওপারে অর্থাৎ বাংলাদেশে। বাকি অবশিষ্ট অংশ রয়ে যায় ভারতবর্ষে। সেই আমলে ব্রিটিশ(British) শাসকের আমল থেকে এই রায় জমদার বাড়ির পূজো বেশ জনপ্রিয়। হাজার হাজার মানুষ এই পুজোতে অংশগ্রহণ করেন। এমন কি দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও সীমান্তের ওপর থেকে মানুষ আসতেন এই পুজো দেখতে। কিন্তু বর্তমানে এখন সেই রকম পরিস্থিতি নেই। তবে রয়ে গেছে ঐতিহ্য। রয়েছে ইতিহাস। প্রাচীন এই জমিদার বাড়ির দেওয়ালে ফাটল ধরলেও এখনো দেওয়ালে রয়েছে বিশাল কুমিরের ছাল । যা তারই পূর্বপুরুষরা শিকার করেছিলেন। এখনো এই পুজো উপলক্ষে চারদিন থাকে পাত পেড়ে খাওয়ার ব্যবস্থা। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই সীমান্তবর্তী গ্রামে এই পুজোতে অংশগ্রহণ করতে আসেন মানুষ।

এই জমিদার স্টেটের বংশ,ধর রাকেশ কুমার রায়(Rakesh Kumar Roy) জানান, এই বছরও চিরাচরিত প্রথা মেনে সপ্তমীর দিন পুনর্ভবা নদী থেকে পুজোর জন্য জল নিয়ে আসা হবে। সেই সময় পাঁচ রাউন্ড শূন্যে গুলি ছুঁড়ে এই পুজোর সূচনা হবে প্রতি বছরের মত। এই পুজোতে ভোগ রান্না থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু করেন উত্তরপ্রদেশের মৈথিল ব্রাহ্মণরা।দশমীর দিন এই তিলাসন গ্রামের পাশে পূর্ণভবা নদীতেই প্রতিমা বিসর্জন হবে। রায় জমিদার পরিবারের বংশধর রাকেশ কুমার রায় জানান, তাঁর পূর্বপুরুষের আমন্ত্রণে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু এই পূজোতে অংশগ্রহন করতে সিঙ্গাবাদ স্টেশন(Singabad  পর্যন্ত এসেছিলেন। কিন্তু জাতীয় কংগ্রেসের এক জরুরী বৈঠকের সূচনা পেয়েই মাঝপথ থেকে ফিরে যেতে হয় তাকে। ইতিহাসের অনেক সাক্ষী এই পূজো আজও সমাদরে পালিত হয়ে আসছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মাত্র পাঁচ মিনিটের ঝড়, তছনছ হয়ে গেল মথুরাপুরের একাধিক বাড়ি

ব্যবসায়ীর কাছ থেকে উদ্ধার লক্ষ লক্ষ টাকা, রাতে হানা আয়কর বিভাগের

আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চাষের জমি লুটের অভিযোগ শেখ শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে

রবিবার থেকে জেলায় জেলায় শুরু হবে বৃষ্টি, সোমবার ভিজতে পারে কলকাতা

‘উনি কেন এখনও ফর্ম ফিলাপ করেননি?’, নাম না করে শান্তনুকে CAA খোঁচা মমতার

শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে জমি হাতানোর অভিযোগ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর