নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা: স্বামীকে খুন করেছে তার দ্বিতীয় স্ত্রী এবং পরিবারের লোকেরা। অভিযোগ ছিল প্রথম স্ত্রীর। রহস্যের কিনারা করতে বিডিওর উপস্থিততে কবর থেকে সোমবার দুপুরে মৃতদেহ তোলা হল ময়না তদন্তের জন্য। মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী।রহস্য মৃত্যুর কিনারা করতে মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠালো পুলিশ। বিডিও(BDO) এবং পুলিশের কর্তাদের উপস্থিতিতে সম্পূর্ণ হল এই প্রক্রিয়া। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি ভিডিও রেকর্ড করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। এই ধরনের ঘটনার সাক্ষী থাকতে ভিড় জমিয়ে ছিল বহু মানুষ। কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী।
ব্যাপক চাঞ্চল্য ছিল এলাকায়। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভাটোল গাড়রা গ্রামের বাসিন্দা হাসনের মৃত্যু হয় ডিসেম্বর মাসের ৪ তারিখে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিল সে। কিন্তু পরিবারের লোকেরা ময়নাতদন্ত না করিয়ে ইসলামিক রীতি অনুযায়ী কবর দিয়ে দেয়। হাসনের প্রথম স্ত্রী আরবিনা বিবি অভিযোগ করে তার দ্বিতীয় স্ত্রী আনা বিবি এবং পরিবারের অন্যান্য লোকেরা চক্রান্ত করে তার স্বামীকে হত্যা করেছে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়(Harishchandrapur P.S.) এই নিয়ে আটজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আরবিনা বিবি। মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের দাবী জানায় সে। সেই দাবি অনুযায়ী রহস্যের কিনারা করতে এই দিন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে গাড়রা গ্রামের কবরস্থান থেকে মাটি খুঁড়ে তোলা হয় হাসনের দেহ।
সমগ্র প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। উপস্থিত ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনির্বাণ বসু, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি দেওদূত গজমের সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা। কবর থেকে মৃতদেহ তোলা দেখতে ভিড় জমিয়েছিল এলাকার বহু মানুষ। মৃতদেহ তুলে নিয়ে মালদা মেডিকেল কলেজে(Malda Medical College) ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ।