নিজস্ব প্রতিনিধি: সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর মে মাসে রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন(Panchayat Election) হওয়ার কথা। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই নির্বাচন এগিয়ে আনার ইঙ্গিত দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। আর তা নিয়েই শোরগোল পড়ল রাজ্য রাজনীতিতে। মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন চলতি বছরে বর্ষার পরে পরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়ে যেতে পারে। সেই হিসাবে মনে করা হচ্ছে চলতি বছরের শেষ দিকে উৎসব মরশুম শেষ হলেই হয়তো বাংলায় বেজে উঠবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঢাক। আইন বলছে রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত ও পুরসভা উভয় ক্ষেত্রেই ভোট ৬ মাস এগিয়ে আনতে পারে বা তা পিছিয়ে দিতে পারে। সেই হিসাবে আগামী বছরের মে মাসে যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা, সেই নির্বাচন ৬ মাস এগিয়ে এনে চলতি বছরের ডিসেম্বরে করে ফেলতেই পারে রাজ্য সরকার। যদিও কেন সেই নির্বাচন এগিয়ে আনা হতে পারে সেই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন কোনও ইঙ্গিত দেননি।
ঠিক কী বলেছেন এদিন মুখ্যমন্ত্রী? বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম(Jhargram) স্টেডিয়ামে ছিল তৃণমূলের কর্মীসভা। সেই সভায় যোগ দেন মমতা। সেখানেই তিনি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘মানুষের কাজ ফেলে রাখবেন না। বর্ষা আসার আগে টেন্ডার করে কাজ শুরু করুন। বর্ষা এলে কাজ হবে না। তারপর পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা করে দেব। ভোটের আগেই কাজ শেষ করুন। মানুষকে কাজ দিয়ে চমকাতে হবে, ধমকানি দিয়ে নয়।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের জেরেই এখন অনেকেই মনে করছেন চলতি বছরে নভেম্বর মাসের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আর সেই ঘোষণা করা হতে পারে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই। কিন্তু কেন নির্বাচন এগিয়ে আনা হতে পারে তা নিয়ে নানা মুনির নানা মত শোনা যাচ্ছে। কারও মতে বাংলায় এখন বিরোধীরা কার্যত ছন্নছাড়া দশায় রয়েছে। তাই বিরোধী শিবিরকে ঘর গোছানোর বেশি সময় না দিয়ে ভোট এগিয়ে আনছেন মমতা। অন্য একটি শিবিরের মত, গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে নীচুর তলায় বেশ কিছু জেলায় ভেলকি দেখিয়েছিল বিজেপি। এবারে তাঁরা আর সেই ভেলকি দেখানোর অবস্থায় নেই। কিন্তু যদিও বা কিছু ঘটে যায় সেই ধাক্কা যাতে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সামলে নেওয়া যায় সেই জন্যই ভোট এগিয়ে আনছেন মুখ্যমন্ত্রী।