নিজস্ব প্রতিনিধি: বিরোধীদের অভিযোগ ছিল একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জিততে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার নানা সামাজিক প্রকল্পের নাম করে ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। সেই অভিযোগ যে নিছকই মনগড়া ছিল তা বাংলার মানুষ খুব ভালই বুঝে গিয়েছেন। কেননা তাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার(Lakhir Bhandar), স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, সবুজসাথী থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী(Kanyasree), রূপশ্রী, ঐক্যশ্রী, সবুজশ্রীর সুবিধা পাচ্ছেন। একই রকম ভাবে তাঁরা পাচ্ছেন স্টেডেন্ট ক্রেডিট কার্ড ও বিভিন্ন বার্ধক্য ভাতার সুবিধাও। সেই সব সুযোগসুবিধা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা বার বার প্রচার করে গিয়েছে বিরোধীরা। কিন্তু শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় নিজের ঘরে বসে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন এই সব সামাজিক প্রকল্পের একটিও বন্ধ হচ্ছে না। রাজ্যবাসী যেমন ওই সব প্রকল্পের সুবিধা পেতেন তেমনিই তাঁরা তা পাবেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘রাজ্যের বাজেট(State Budget) বরাদ্দ বেড়েছে ৩.৮ গুণ। রাজস্ব আদায় বেড়েছে ৩.৭৬ গুণ। তাই সামাজিক পরিষেবা(Social Welfare Scheme) ক্ষেত্রে ১০.৭ গুণ বরাদ্দ বাড়িয়ে ৭৩ হাজার ৪৪১ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কৃষি পরিকাঠামোতে বরাদ্দ বেড়েছে ১১.৩ গুণ। সেখানে ৩৪ হাজার ১৩০ কোটি টাকার প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়াও ফিজিক্যাল ইনফ্রাস্ট্রাকচারে ৬ গুণ বরাদ্দ হয়েছে। সেখানে বরাদ্দের পরিমাণ ১০ হাজার ৪২২ কোটি টাকা। গোটা বাংলা জুড়ে তাজপুর, দেউচা-পাঁচামি, অশোকনগরও এনজিসি প্রকল্প মিলিয়ে রাজ্যে কয়েক কোটির কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে। রাজ্যের যে প্রকল্পগুলি চলছিল, সেগুলি সবই চলবে। আমাদের অনেক প্রকল্প ইতিমধ্যেই চলছে। এমন কোনও সেক্টর নেই যেখানে প্রকল্প নেই। সেগুলি চলবে। কোভিড, যশ, আম্ফান সত্ত্বেও আমরা সোশাল সার্ভিস সেক্টরে ১০.৭ গুণ বরাদ্দ বাড়াতে পেরেছি। কৃষি বিভাগে ৩৩.২ গুণ বেড়েছে বাজেট বরাদ্দ। উচ্চ শিক্ষা দফতরের জন্য ২৫.৪ গুণ বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে। স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ বিভাগে ১৯.৩ গুণ বরাদ্দ বেড়েছে। নারীকল্যাণে ১৭.৫ গুণ বেড়েছে।’
পাশাপাশি এদিন তিনি জানান, ‘কৃষকবন্ধু প্রকল্পে আমরা ৭০ লক্ষ কৃষককে সহায়তা দিচ্ছি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ১ কোটি ৫৩ লক্ষ এখনও পর্যন্ত সুবিধা পাচ্ছেন। স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা সাড়ে ৯ কোটি মানুষ পাচ্ছেন। খাদ্যসাথীর সুবিধা পাচ্ছেন ১০ কোটি মানুষ। আমরা যখন ক্ষমতায় আসি গ্রামবাংলার রাস্তা ছিল মাত্র ২৯ হাজার ৭০৬ কিমি। ঘর থেকে বেড়িয়ে দেখুন বাংলার রাস্তায় বিপ্লব হয়ে গেছে। আমরা ১ লক্ষ ৩৪১ কিমি রাস্তা করেছি গত ১০ বছরে। বিধবা ভাতায় অতিরিক্ত বরাদ্দ করা হয়েছে বাজেটে। সেই সঙ্গে চা বাগানে ও কৃষি আয়ের ওপর কর মকুব করা হয়েছে। ২০২৪ -এর মধ্যে আমরা রাজ্যের সর্বত্র পানীয় জল পৌঁছে দেব।’