এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘যদি আমার জীবন চলে যায়, যাক তবু কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে যেতে দেব না’

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: সবাই অপেক্ষা করছিল তিনি কী বলেন তা জানার জন্য। কেননা তিনি বিরোধিতার পথে হাঁটবেন নাকি সমর্থন করবেন তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। কেননা গতকালই তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর হাতে আইনটি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য এসে পৌঁছায়নি। তাই যা জানাবার তা হাবড়ার সভা থেকেই তিনি জানাবেন। তিনি মানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। আর যে আইনের কথা বলা হচ্ছে তা হল – CAA বা Citizenship Amendment Act যা গতকাল সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে লাগু হয়ে গিয়েছে। এদিন উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলার হাবড়ায়(Habra) ছিল মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা। সেই সভা থেকেই তিনি সরব হলেন CAA নিয়ে। সাফ জানালেন, ‘ক্যা টোটাল ভাঁওতা, ইলেকশনের নামে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। এরপর ক্যা-এর সঙ্গে NRC-কে জুড়ে দেবে। এখন যাদের দরখাস্ত করতে বলা হচ্ছে, তাঁরা নাগরিক থাকা সত্ত্বেও অনুপ্রবেশকারী হয়ে যাবেন, তাঁদের আর কোনও অধিকার থাকবে না। CAA পুরোটাই ভাঁওতা, অধিকার কেড়ে নেওয়ার খেলা। যদি আমার জীবন চলে যায় যাক, তবু কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে যেতে দেব না।’

এদিনের সভা থেকে মমতা বলেন, ‘CAA-র কোনও ভিত্তি নেই, স্বচ্ছতা নেই। ভোটের আগে যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা। উনিশের আগেও অসমে এরকম করেছিল। ১৪ লক্ষ মানুষকে NRC-র আওতায় এনে। এটা বেআইনি খেলা। এটা বিজেপির লুডো খেলার ছক্কা। ভাবছে মারলাম ছক্কা। কিন্তু আসলে পুট। জেনে রাখবেন, এর সঙ্গে NRC যুক্ত আছে। পরের ধাপ NRC। যেই CAA পোর্টালে দরখাস্ত করবেন, তখনই আপনাদের এতদিনকার নাগরিকত্ব বাতিল হবে। এতদিন যে সুযোগ সুবিধা পেতেন, তা বাদ হয়ে যাবে। তাই দরখাস্ত করার আগে ভালো করে ভেবে দেখবেন। আবেদন করার আগে বার বার ভাববেন, একজনও যদি অধিকার পায় আমি খুশি হব। কিন্তু আপনারা দুঃখ পেলে আমিও দুঃখ পাব। এটা পুরোপুরি ভাঁওতা, জুমলা। আগে আপনাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে। তার পর CAA-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলবে। কিন্তু সেই অধিকার আবার ফিরে পাবেন কিনা, তার নিশ্চয়তা নেই।’

এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা এতদিন নাগরিক ছিলেন, তাঁরাই হয়ে যাবেন অনুপ্রবেশকারী। আপনাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। আপনাদের জায়গা হবে ডিটেনশন ক্যাম্পে। আমি থাকতে রাজ্যে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প হতে দেব না এখানে। জীবন দিয়ে দেব, তবু কারও নাগরিকত্বের অধিকার কাড়তে দেব না। কেউ বঞ্চিত হলে আমরা আশ্রয় দেব। এই আইন কার্যকর করার কোনও পদ্ধতি বিজ্ঞপ্তিতে বলা নেই। আমি বলি, এই আইন অসাংবিধানিক এবং বিভেদকামী। নইলে কেন তিন প্রতিবেশী রাজ্যের শুধু হিন্দুদের আশ্রয় দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে? আপনাদের ভয় পাওয়ার দরকার নেই। আপনারা বহাল তবিয়তে বাংলায় থাকুন। কারও কিচ্ছু হবে না। কারও কিছু হলে আমরা আপনাদের আশ্রয় দেব। আইনটা সরিয়ে ফেলুন। আগামী দিনে সাবধানে থাকতে হবে। একজন মানুষকেও ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাতে দেব না। এই আইন টায় আপনি যেই আবেদন করবেন, সেই তিনি অবৈধ নাগরিক হয়ে যাবে। আপনাদের ধাপ্পা দিচ্ছে ধাপ্পা।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দুর্গাপুর এনআইটি ‘র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রের আত্মহত্যা, গাফিলতির দায় মেনে পদত্যাগ ডিরেক্টরের

সীমান্তবর্তী শহর বসিরহাটে নির্বাচনের আগে জোর তল্লাশি পুলিশের

সন্দেশখালিতে সিবিআই রাতের অন্ধকারে বিদেশি পিস্তল লুকিয়ে রেখে এসেছে: অখিল গিরি

বিরোধীরা বদ্ধ পাগল হয়ে গেছে দাবি প্রসূনের, তাপ প্রবাহে সুস্থ থাকার টোটকা রথীনের

তীব্র দাবদাহ থেকে পশু পাখিদের বাঁচাতে শান্তিপুরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বিশেষ উদ্যোগ

তাপপ্রবাহে স্বস্তি পেতে ভাগীরথীতে বন্ধুদের সঙ্গে জলে নেমে তলিয়ে গেল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর