-273ºc,
Friday, 2nd June, 2023 9:28 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূলের(TMC) প্রথম বিধায়ক তথা রাজ্যের বর্ষীয়ান মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের(Sovondeb Chattopadhay) আজ জন্মদিন(Birthday)। এদিন ৭৯ বছরে পা দিলেন তিনি। সেই উপলক্ষ্যেই সোমবার সাত সকালে শোভনদেববাবুর বাড়িতে হাজির হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) প্রতিনিধিরা। তাঁদের সঙ্গে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তা, ফুল ও মিষ্টি। সেই সব কিছুই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে তুলে দেন শোভনদেববাবুর হাতে। বর্তমানে বয়সের দিক থেকে রাজ্য মন্ত্রিসভার সব থেকে সিনিয়র সদস্য শোভনদেববাবু। ঘটনাচক্রে এদিনই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক রয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে সেই বৈঠকের পর তাঁকে আলাদা ভাবে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হতে পারে। শোভনদেববাবু এখন শুধু বিধায়ক বা মন্ত্রীই নন তিনি কলকাতার অটো রিক্সা অপারেটর ইউনিয়নের সভাপতিও। সেই সংগঠনের তরফ থেকেই তাঁকে এদিন শুভেচ্ছা জানানো হয়।
আরও পড়ুন জাতির জনকের প্রয়াণ দিবসে রাজ্যপালের শ্রদ্ধার্ঘ্য গান্ধিঘাটে
শোভনদেববাবু কার্যত কলেজজীবন থেকেই রাজনীতিতে জড়িত। প্রথমদিকে কংগ্রেসেই ছিলেন। এমনকি ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে তিনি কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর বিধানসভা থেকে জয়ী হয়ে বিধায়ক হিসাবে কাজ করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ছেড়ে যখন তৃণমূল গঠন করেন তখনও তাঁর পাশে পেয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। ১৯৮ সালে শোভনদেববাবুই তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে বিধানসভায় দলের খাতা খোলেন। সেই হিসাবে তিনিই বাংলার বুকে প্রথম তৃণমূল বিধায়ক। এরপর ২০০১, ২০০৬, ২০১১ ও ২০১৬ সালে তিনি রাসবিহারী বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবেই জয়ী হন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। জিতেও যান সেখান থেকে। কিন্তু সেই আসন তিনি ছেড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপনির্বাচনে জিতে যাতে তিনি বিধায়ক হতে পারেন সেই জন্য। পরিবর্তে নিজে চলে যান উত্তর ২৪ পরগনা জেলার খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে। সেই নির্বাচনে জিতে এখন তিনি রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।