নিজস্ব প্রতিনিধি: হুট করে থেমে গেল পথ চলা। ইতি পড়ে গেল মাত্র ৬৮ বছর বয়সেই। তৃণমূল হারালো দলের এক কর্মী ও নেতাকে। মঙ্গলবার রাতে জলপাইগুড়ির(Jalpaiguri) এক নার্সিংহোমে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন উত্তরবঙ্গের তৃণমূল(TMC) নেতা কৃষ্ণ কুমার কল্যাণী(Krishna Kumar Kalyani)। তাঁর মৃত্যুতেই এদিন টুইট(Tweet) করে শোকবার্তা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তিনি লিখেছেন, ‘উত্তরবঙ্গের একজন শীর্ষস্থানীয় চা শিল্পপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যাণীর অকাল মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। আমি তাঁকে ডুয়ার্সে মা মাটি মানুষের একজন নেতৃস্থানীয় মুখ হিসেবে চিনতাম এবং তাঁর পরিবার ও অনুসারীদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই।’
কৃষ্ণকুমার কল্যাণী উত্তরবঙ্গের রাজনীতি শুধু যে রাজনীতিবিদ হিসাবে পরিচিত ছিলেন তাই নয়, ছিলেন চা বাগানের মালিকও। সেই সুবাদে উত্তরবঙ্গের চা শিল্পে তাঁর ভূমিকা ছিল নজরকাড়া। মঙ্গলবার বিকাল থেকেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয়েছিল কৃষ্ণবাবুর। তার জেরে তাঁকে প্রথমে জলপাইগুড়ির এক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করার কথা বলেন তাঁর পরিবারকে। যদিও সেই সুযোগ পাওয়া যায়নি শেষ পর্যন্ত। রাতেই চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে প্রয়াত হন তিনি। কৃষ্ণ কুমার কল্যাণী দীর্ঘদিন জলপাইগুড়ি জেলাতে তৃণমূলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলেছিলেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে তাঁকে দলের রাজ্য সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকও করা হয়েছিল। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের অন্দরে।