নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তর দিনাজপুর জেলার কর্ণঝোরাতে এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে উত্তর ও দক্ষিণ এই দুই দিনাজপুর জেলার প্রশাসনিক আধিকারিক, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশকে নিয়ে সেই বৈঠক সারেন তিনি। সেই বৈঠক থেকেই বিএসএফ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কড়া বার্তা দিলেন পুলিশ প্রশাসনকে। সাফ জানিয়ে দিলেন, আইনশৃঙ্খলা যেহেতু রাজ্য সরকারের বিষয় তাই পুলিশ যেন কোনওভাবেই বিএসএফকে জমি ছেড়ে না দেন। তাঁরা তাঁদের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কিছু করলেই পুলিশ যেন তাতে বাধা দেয়। কেননা রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকার জেলাগুলি থেকে হামেশাই অভিযোগ আসছে গ্রামে গ্রামে ঢুকে আমজনতার ওপর বিএসএফ অত্যাচার চালাচ্ছে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ থেকে খবর পাচ্ছি বিএসএফ গ্রামে ঢুকে অত্যাচার চালাচ্ছে। পুলিশকে এটা দেখতে হবে। ছেড়ে দিলে চলবে না। ওরা ১৫কিমি ভেতর পর্যন্ত ঢুকতে পারে কিন্তু যাই করুক না কেন পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে করতে হবে। ওরা সেটা করছে না। যখন তখন গ্রামের ভেতরে চলে এসে অত্যাচার করছে। এটা আটকাতে হবে। ওদের বলবেন এসব না করতে। নাগাল্যান্ডে দেখলেন তো কী হল। কোচবিহারেও ৩টে লোককে কয়েকদিন আগে গুলি করে মেরেছে। শীতলকুচিতে কী হয়েছিল মনে আছে তো? ওদের ডিজি’র সঙ্গে কথা বলে নিন। পুলিশকে না জানিয়ে আর সঙ্গে না নিয়ে যেন গ্রামের ভেতরে না ঢোকে। আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। ওরা ওদের কাজ করুক। কিন্তু পুলিশকে জানিয়ে করুক। বিএসএফ মাঝে মাঝেই গ্রামে ঢুকে অত্যাচার করছে। এটা আটকাতে হবে। পুলিশের ডিজি সরাসরি কথা বলবেন বিএসএফ-এর ডিজি-র সঙ্গে। ওঁদের ১৫ কিলোমিটার আসার কথা। সেটাও পুলিশকে জানিয়ে। তা না করে, ওঁরা যেখানে সেখানে ঢুকে পড়ে। স্থানীয় পুলিশকে না জানিয়ে কোনও সঙ্ঘাত হোক, এটা আমি চাই না। তাই পুলিশকে আরও সতর্ক হতে হবে। আমাদের অনেক আইসি ভাবেন, না না ওঁদের ছেড়ে দাও। কিন্তু কেন? বিডিও-দের বলব, একটু বেশি সতর্ক থাকুন। কোনও অভিযোগ এলে আইসি-কে নিয়ে এলাকায় যাবেন। বলে দেবেন, এটা আপনাদের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না।’