নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশ্ব ব্যাঙ্কের(World Bank) আর্থিক সহায়তায় বাংলার(Bengal) বেশ কিছু জেলায় সেচ খাল(Irrigation Canal) সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। ১৪৩৫ কোটি টাকা খরচ করে দুই বর্ধমান ছাড়াও বাঁকুড়া ও হুগলির একাংশের খাল সংস্কার করা হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমানের(Purba Burdhwan) গলসি-১ ও ২ ব্লক, জামালপুর ব্লক সহ বিভিন্ন এলাকায় কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এই সব এলাকার কয়েকটি জায়গায় ৮০ শতাংশের বেশি কাজ হয়ে গিয়েছে। ওই সব এলাকায় পানাগড়, দুর্গাপুর ব্রাঞ্চ ক্যানেল, দামোদর মেন ক্যানেল সংস্কার হচ্ছে। খালগুলি বহু বছর আগে সংস্কার করা হয়েছিল। মজে যাওয়ায় সেচের জল জমিতে পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছিল। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপে মঙ্গলকোট, ভাতার, গলসি, আউশগ্রাম সহ পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্তের চাষিরা উপকৃত হবেন।
আরও পড়ুন Saltlake CGO Complex-এ পা রুজিরার, মুখোমুখি ED’র
এই বিষয়ে নবান্নের আধিকারিকদের দাবি, রাজ্যের সমস্ত জেলাতেই খাল সংস্কার শুরু হয়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে আর্থিক সহযোগিতা পাওয়া গিয়েছে। প্রতিটি এলাকায় আলাদা আলাদাভাবে টেন্ডার করে কাজ করানো হচ্ছে। বহু বছর খালগুলি সংস্কার হয়নি। অনেক জায়গায় বাঁধ ভাঙা ছিল। DVC জল ছাড়লে ভাঙা অংশ দিয়ে জল বেরিয়ে যেত। অনেক সময় চাষের জমি প্লাবিত হয়ে যায়। খাল সংস্কার হওয়ায় সেই সমস্যা থাকবে না। খালগুলিতে জলধারণ ক্ষমতা কমে গিয়েছিল। DVC’র জলের ওপর গলসি, ভাতার সহ বিভিন্ন এলাকার চাষ নির্ভরশীল। গ্রীষ্মকালেও DVC’র জলে ওইসব এলাকাগুলিতে চাষ হয়। খাল সংস্কার না হওয়ার জন্য অনেক সময় শেষ প্রান্ত পর্যন্ত জল পৌঁছত না। তা নিয়ে চাষিরা নিজেদের মধ্যে বিরোধে জড়িয়ে পড়তেন। খাল সংস্কার হয়ে গেলে এই সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে। খালের দু’পাশে ঢালাই করা হচ্ছে। মাটি পাড় থেকে দূরে রাখা হচ্ছে। কয়েকটি জায়গায় কাজের মান নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। ওই এলাকাগুলিতে মাটি পাড়ের পাশেই রাখা হয়েছিল। তা খালে পড়লে সমস্যা হতে পারত। ওই এলাকাগুলিতে ঠিকাদারদের সতর্ক করা হয়েছে।