এই মুহূর্তে




‘ব্লক ভূমি রাজস্ব অফিস ঘুগুর বাসা’ জানালেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীই




নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে প্রথমবার পুরুলিয়ার(Purulia) মাটিতে পা রেখেই কার্যত বিস্ফোরক হয়ে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী(Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। প্রশাসনিক সভার মঞ্চ থেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে জানিয়ে দিলেন ‘ব্লক ভূমি রাজস্ব অফিস ঘুগুর বাসা। অফিসের কাজ দোকানে হচ্ছে। কর্মচারীরাই করাচ্ছেন। ঘুষ না দিলে সাধারণ গরিব মানুষদের কাজ হচ্ছে না।’ খোদ মুখ্যমন্ত্রীর মুখে রাজ্য প্রশাসনের একটি দফতরের একটি জেলার এক ব্লক অফিসের এহেন সমালোচনা শুনে সোমবার কার্যত বাকরুদ্ধ হয়ে পড়লেন জেলা থেকে রাজ্যের প্রশাসনিকেরা। জেলার প্রশাসনিক আধিকারিক বা পুলিশ ছাড়াও যে বিকল্প পথে মুখ্যমন্ত্রী বড়সড় দুর্নীতি খুঁজে এনে তা সকলের সামনে তুলে ধরতে পারেন সেটা কেউ ভাবতেই পারেননি।

সোমবার পুরুলিয়া শহরের রবীন্দ্র ভবনে প্রশাসনিক বৈঠকে অংশ নিয়ে কার্যত বিস্ফোরণ ঘটান মুখ্যমন্ত্রী। জেলার বলরামপুর(Balrampur) ব্লকের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর(BLRO) নিয়ে অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই কারণে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এনিয়ে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এদিনের বৈঠকে মঞ্চে বসেই এক এক করে জমি সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ পড়ে শোনান মুখ্যমন্ত্রী। জানান, ‘তিন ভাইয়ের নামে মিউটেশন করতে গিয়ে দালাল চেয়েছে ৩০ হাজার টাকা। গরিব পরিবার, কৃষকবন্ধুর সুযোগ পাচ্ছে না।’ এদিন মুখ্যমন্ত্রী কার্যত ব্লক ভূমি রাজস্ব অফিসের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন। পাশাপাশি আদিবাসীদের গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, ‘জঙ্গলমহলে একসময় রাস্তায় মানুষ বের হতে পারত না। অনেক কষ্টে এখানে শান্তি ফিরেছে। ভেবেছিলাম বিএলআরও অফিসের কাজকর্ম নিয়ে বিচ্ছিন্ন কয়েকটা অভিযোগ পাব। আজ আমি সাক্ষী নিয়ে এসেছি। আমারে পেছনে দেখো কিছু দরিদ্র আদিবাসী পরিবার বসে রয়েছে। অভিযোগ কী? অনেকে আগে জমির মিউটেশন করাতে পারতেন না। এখন যখন তারা মিউটেশন করাতে যাচ্ছেন তখন তা তাকে করতে দেওয়া হচ্ছে না। একসময় এখানে তপসিলি জাতি উপজাতিদের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। এখন অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তারা আগে ভাবতেই পারতো না বিএলআরও অফিসে যাবে। কৃষক বন্ধু প্রকল্পে এখন অনেকে জমি মিউটেশন করাতে চাইছে। জমি রেকর্ড করা নেই বলে অনেক আদিবাসী পরিবার কৃষকবন্ধুর টাকা পাচ্ছে না। ’

পাশাপাশি বলেন, ‘বেশিরভাগ সময়ই আদিবাসীদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না। আদিবাসীদের অনেকেরই অভিযোগ, তাঁরা ঠিক করে পড়াশোনা করতে পারে না। এমনকী, জমি মিউটেশন করতে গেলে তাঁদের হেনস্থা করা হচ্ছে। আমি অনেক অভিযোগ পেয়েছি। এই বিষয়গুলি দেখে নিতে হবে। আদিবাসীদের গুরুত্ব দিতে হবে। আদিবাসীদের জায়গা কেউ নিতে পারবে না। এটা যদি কেউ নেয় তাহলে বিএলআরও’র নামে এফআইআর হবে। বিএলআরও এখানে কারা এসেছেন? সবার বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ নেই। পলিটিকাল লোকেদের বিরুদ্ধে বদনামটা বেশি রটে। কিন্তু যাঁরা সরকারের কাজটা করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেবেন তাঁদের তো ভালো ফেস নিয়ে কাজটা করতে হবে। তবেই তো সুনাম থাকবে। দুর্নামের সঙ্গে কাজ করাটা আমাদের কারোরই প্রত্যাশিত নয়। কেউ ভুলভ্রান্তি করে থাকলে বলরামপুরের যারা আছেন তাঁরা শুধরে নেবেন। আর বদনাম করার জন্য কেউ কিছু করে থাকলে আপনারা তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করুন। প্রশাসনের তত্পর হওয়া উচিত।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মহিলাদের নিরাপত্তা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক জেলাশাসকের

শান্তিপুর ফুলিয়ার বসাক বাড়ির কাত্যায়নী পুজো ঘিরে আনন্দে মাতোয়ারা সকলে

বাংলাদেশে চ্যাংড়া ছাত্র নেতাদের হাতে ক্ষমতা , শাসন প্রতিষ্ঠা হবে কোথা থেকে: দিলীপ ঘোষ

বাগনান ও আমতা থেকে উদ্ধার বিলুপ্ত নয় ও চার কেজির দুটি বিশালাকার ময়ূরী কাছিম

রাজ্যের ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের ওপরে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

‘ভারত বিদ্বেষী’ বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ দার্জিলিংয়ের হোটেলের দরজা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর