নিজস্ব প্রতিনিধি: চার দিনের পাহাড় সফর শেষ করে বৃহস্পতিবার বাগডোগরা(Bagdogra) থেকে বিমানযোগে কলকাতায় ফিরে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। ফেরার পথে বাগডোগরায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, ‘আমার কাছে উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ, পশ্চিমবঙ্গ সব সমান। আমি চাই সবাই ভালো থাকুক, সুখে থাকুক, শান্তিতে থাকুক। আজ অনীত থাপা শপথ নিলেন। আমি গিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এলাম। ওরা ভালভাবে কাজ করুক। চাকরিবাকরি আরও বাড়ুক এদিকে। চাকরি এদিকেও বাড়ছে, আরও বাড়বে ভবিষ্যতে।’ মুখ্যমন্ত্রীর এবারের পাহাড় সফরকালে সব থেকে বড় তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠে এসেছে জিটিএ’র সদস্যদের নির্বিঘ্ন শপথ গ্রহণ ও বোর্ড গঠনের মতো বিষয়টি। মুখ্যমন্ত্রী জিটিএ নির্বাচনের আগে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন। সেই বৈঠকে মুখ না খুললেও পরে সেই নির্বাচন বয়কট করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, বিজেপি(BJP) ও জিএনএলএফ। কিন্তু পাহাড়ের মানুষ বিপুলভাবে ভোট দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা আর বয়কট, বিক্ষোভ, বনধের রাজনীতির পথে হাঁটা দেবেন না। তাঁদের চাই শান্তি আর উন্নয়ন।
পাহাড়ের আমজনতার এই মনোভাব একদিকে যেমন মোর্চা, বিজেপি ও জিএনএলএফ-কে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিয়েছে তেমনি রাজ্য সরকার তথা তৃণমূলের অবস্থানকে পায়ের নীচে শক্ত মাটিও এনে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বার বার বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। বার বার জানিয়েছেন দার্জিলিংয়ের(Darjeeling) পাহাড় বাংলার অভিন্ন অংশ। পাহাড়ের জনতা জিটিএ নির্বাচনে অংশ নিয়ে কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর সেই দাবিকেই মান্যতা দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীও জিটিএ’র সদস্যদের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পাহাড়বাসীকেই কার্যত ধন্যবাদ জানালেন। কেননা তাঁরা রাজ্য সরকারের ওপর আস্থা রেখেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ওপর আস্থা রেখেছেন। রাজ্য সরকার যে শান্তি ও উন্নয়নের ওপর জোর দিচ্ছে তাতেও সায় দিয়েছেন পাহাড়বাসী। তাঁরা বিচ্ছিন্নবাদীদের কথায় কর্ণপাত করেননি। মমতার হাত শক্ত করে তাঁরা অনীত থাপাকে(Anit Thapa) জিটিএ’র ক্ষমতায় বসিয়েছেন যাতে আগামী দিনে পাহাড়ের উন্নতি যেন রাজ্য সরকারের সাহায্যে মসৃণ ভাবে এগিয়ে যায়।