নিজস্ব প্রতিনিধি, কার্শিয়াং: বাংলার মাটি সোনা, সেটাকে কাজে লাগাতে হবে। এদিন কার্শিয়াংয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে এমনটাই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাহাড়ে ঝর্নার জল কাজে লাগিয়ে বটলিং প্ল্যান্ট হতে পারে বলে পরামর্শ দিলেন তিনি। একইসঙ্গে মাদার ডেয়ারি থেকে বাংলা ডেয়ারি হওয়ার প্রক্রিয়া শেষে পথে। সেখানেও প্রচুর কর্মসংস্থান হবে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দিলেন, ব্লকে ব্লকে তৈরি করা হয়ে বাংলা ডেয়ারির আউটলেট। পাশাপাশি মোবাইল ভ্যানের মাধ্যমেও বিক্রির পরামর্শ দিলেন তিনি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, বাংলায় ফার্মা, কৃষিজাত শিল্প তৈরির প্রচুর সুযোগ আছে। স্থানীয় যুবকদের সেটা কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, ‘ব্যাঙ্কে টাকা রাখলে বাড়িতে সিবিআই ঢুকে যাবে, ইডি ঢুকে যাবে। বরং আপনারা ব্যবসা করুন, আমি আছি আপনাদের সঙ্গে।’ দেশ বিদেশের বিভিন্ন পাহাড় অঞ্চলে পাহাড়ে ঝর্ণার জল ধরে তা শোধন করে পানীয়জল হিসাবে বিক্রি করা হয়। দার্জিলিংয়েও তেমনটাই করার বার্তা দিলেন তিনি। বলেন, ‘ঝর্ণার জল কাজে লাগিয়ে বটলিং প্ল্যান্ট হতে পারে। প্রথম ধাপে অন্তত ১০টি বটলিং প্ল্যান্ট করতে পারেন। সরকার সবরকম সাহায্য করবে।’ অন্যদিকে ঠান্ডা আবহাওয়ার জন্য উত্তরবঙ্গে মাশরুম উৎপাদন খুব ভালো হয়। তা নিয়েও বড় ব্যবসার পরামর্শ দিলেন মমতা।
মাদার ডেয়ারি থেকে বাংলা ডেয়ারি করার প্রক্রিয়া বর্তমানে শেষ পর্যায়ে। সেখানে পুরনো কোনও কর্মীকেই ছাটাই করা হবে না বলে এদিন জানিয়ে দিলেন মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বরং নতুন করে অনেক কর্মসংস্থান হবে। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, ‘বাংলা ডেয়ারি নামটা ব্যবহার করে ব্লকে ব্লকে দোকান করতে পারেন। দোকান না করতে চাইলে মোবাইল ভ্যান নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় সুফল বাংলার ধাঁচে বিক্রি করতে পারেন।’ পাশাপাশি বিভিন্ন হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এই ধরনের আউটলেট খোলার জন্য বললেন মুখ্যমন্ত্রী।