নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা ভোটে বাংলায় নির্দিষ্ট আসনের লক্ষ্যপূরণে যাতে কোনও ফাঁক না থাকে, তার জন্য এবার বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডেকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে পাঠালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। বঙ্গ বিজেপির ইনচার্জ করে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। তাঁর সঙ্গে কো-ইনচার্জ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে রাঁচির প্রাক্তন মেয়র আশা লাকড়াকে। পদ্ম শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, সুনীল বনশলের সঙ্গে ভাগাভাগি করেই বাংলায় সংগঠনের দেখভাল করবেন বিহার বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।
গত বিধানসভা ভোটে ধরাশায়ী হওয়ার পরেই কার্যত ছন্নছাড়া দশা বঙ্গ বিজেপির। দলের অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দল যেমন তুঙ্গে পৌঁছেছে তেমনই রাজ্য নেতৃত্বের আন্দোলন বিমুখতায় সংগঠনে ব্যাপক ভাঙন ধরেছে। বিধানসভা ভোটের পরে উপনির্বাচন থেকে পুরসভার ভোট- সব ক্ষেত্রেই মুখ থুবড়ে পড়েছে দল। অনেক ক্ষেত্রে নজিরবিহীনভাবে জামানত খুঁইয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। কোথাও কোথাও বিজেপিকে হঠিয়ে দ্বিতীয়স্থানে উঠে এসেছে সিপিএম। ফলে প্রমাসদ গুনছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। বঙ্গ বিজেপির হাল ফেরাতে গত ১০ অগস্ট ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছিল ভূমিপুত্র সুনীল বনশলকে। ২০১৪ সাল থেকে দীর্ঘ আট বছর যোগী রাজ্যে সংগঠন সামলানোর মতো গুরুদায়িত্ব পালন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ নেতা।
তাঁকে বাংলার দায়িত্ব দেওয়ার পরে জল্পনা শুরু হয়েছিল, তবে কী আগামী লোকসভা ভোটে বাংলাতে উত্তরপ্রদেশ মডেল প্রয়োগের পথে হাঁটছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। পশ্চিমবঙ্গে সংগঠনের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই রাজারহাটের বৈদিক ভিলেজে দলের বিভিন্ন স্তরের বাছাই করা নেতা-নেত্রীদের নিয়ে তিন দিনের চিন্তন শিবিরের আয়োজন করেছিলেন। যদিও ওই শিবির নিয়ে বঙ্গ বিজেপির অন্দরের ফাটল চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছয়। রাজ্য থেকে মোদি মন্ত্রিসভায় থাকা চার মন্ত্রীর মধ্যে তিন জনই অনুপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া দুই সাংসদও যোগ দেননি। এমনকী জাতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরাকে শিবিরে ডাকা হয়নি। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি দলের সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে নালিশও ঠুকেছিলেন। আর তার কয়েকদিনের মধ্যেই বঙ্গ বিজেপিতে নতুন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হল।