নিজস্ব প্রতিনিধি: সম্প্রতি মাওবাদীদের (Maoist) ডাকা ২ টি বনধে বেশ কয়েকটি জায়গায় প্রভাব পড়েছিল মিশ্র। উদ্ধার হয়েছিল পোস্টার, ল্যান্ডমাইন। গত ১৫ এপ্রিল কেন্দ্রের গোয়েন্দা সংস্থা থেকে সতর্ক করা হয়েছিল রাজ্য পুলিশকে। ১৫ দিন জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট (High alert)। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ছক কষা হচ্ছে জঙ্গলমহলের যে কোনও থানায় হামলা চালানোর। তাই কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে ফেলা হয়েছে জঙ্গলমহলের জেলাগুলিকে। চলছে জোর কদমে তল্লাশি। এই পরিস্থিতিতেই পড়ল মাও পোস্টার। তাতে রয়েছে কিষাণজির নাম। সেই পোস্টার পড়ল পুরুলিয়ার খোদ শহরেই। ঝালদা পুরসভায় দেখতে পাওয়া গিয়েছে পোস্টার গুলি।
কেন্দ্র আগেই নির্দেশ দিয়েছিল, মাওবাদীদের প্রতি সহানুভূতিশীল কারা সেই সম্বন্ধে খোঁজ নেওয়ার। আর তারপরে মাও হানা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে জঙ্গলমহলকে। ইতিমধ্যেই ২ দিন ধরে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। উপস্থিত ছিলেন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তা থেকে ওসি- আইসিরা। তারপরেই বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে নাকা তল্লাশি। সূত্রের খবর, বাঁকুড়ার ৫ টি থানাকে বিশেষ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন জেলার সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের সন্ধ্যে ৬ টার মধ্যে বাড়ি ঢুকে যেতে বলা হয়েছে। সোমবার মাও পোস্টার পড়ে ঝালদা পুরসভায়। আর তা ঘিরেই ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য। একটি- দুটি নয়। উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কয়েকটি পোস্টার (Poster)।
পোস্টারে লেখা, ‘লাল সেলাম। মাড়োয়াড়ি চেয়ারম্যান চাই না। কিষাণজি অমর রহে’। সাদা কাগজে লালকালিতে হাতে লেখা সমস্ত পোস্টার। পুরসভা চত্ত্বরে ময়লা ফেলার গাড়িতে সাঁটানো ছিল সেই সমস্ত পোস্টার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, রবিবার বেলগুমা পুলিশ লাইনে ডিজি থানার পুলিশদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, মাও পোস্টার পড়া নিয়ে সতর্ক থাকতে। আর তার ঠিক ১ দিন পরেই অলক্ষ্যে পড়ল পোস্টার। তবে অবাক হওয়ার একটি কারণ রয়েছে। কারণ, মাও পোস্টারে সাধারণত লেখা থাকে, সিপিআই (মাওবাদী)। তবে এই পোস্টারে এমনটা লেখা নেই। পুলিশ (Police) সূত্রে জানানো হয়েছে, কে বা কারা এই পোস্টার ফেলেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ। তবে ঘটনায় এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।