নিজস্ব প্রতিনিধি: জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের বড়সড় হামলার আশঙ্কার জেরে মাও অধ্যুষিত এলাকায় জারি হল হাই অ্যালার্ট। একইসঙ্গে বাতিল করা হল জঙ্গলমহলে কর্মরত পুলিশ কর্মীদের ছুটি। আগামী ১৫ দিন এই উচ্চ সতর্কতা জারি থাকবে বলে জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসনকে দেওয়া গোয়েন্দাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মাওবাদীরা জঙ্গলমহলের বিভিন্ন পুলিশ ক্যাম্প ও থানায় হামলা চালাতে পারে।
সূত্রের খবর, আগামী ১৫ দিন থেকে ১ মাসের মধ্যে মাওবাদীরা জঙ্গলমহলে হামলা চালাতে পারে বলে জেলা প্রশাসনকে রিপোর্ট দিয়েছেন গোয়েন্দারা। জঙ্গলমহলে যে পুলিশ ক্যাম্প বা থানা রয়েছে সেগুলিতে মাওবাদীরা হামলা চালাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। হামলার আশঙ্কায় জঙ্গলমহল জুড়ে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। বাতিল করা হয়েছে পুলিশ আধিকারিক ও কনস্টেবলদের ছুটি। উল্লেখ্য সম্প্রতি জঙ্গলমহলে মাও অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে ল্যান্ডমাইন। উদ্ধার হয়েছে বেশকিছু মাওবাদী পোস্টারও। চলতি মাসের ৮ তারিখে মাওবাদীরা জঙ্গলমহলে বনধের ডাক দিয়েছিল। সেই বনধ সফল হয়েছিল। যা দেখে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল গোয়েন্দাদের কপালে। কার্যত নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করার পর এবার বড়সড় হামলা চালাতে পারে বলে গোয়েন্দারা আশঙ্কা করছেন। ইতিমধ্যে হাই অ্যালার্ট জারি করার পাশাপাশি পুলিশকর্মীদের ছুটি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশকর্মীরা যদি ছুটিতে থাকেন তবে নিজেদের থানায় রিপোর্টিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জঙ্গলমহলে যে রাজনৈতিক নেতৃত্বের নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে তাদের নিরাপত্তারক্ষীদের আগামী ১৫ দিন ছুটি না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য ৮ এপ্রিল মাওবাদীদের ডাকা বনধের (Maoist Bandh) ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল ঝাড়গ্রাম (Jhargram), পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) সহ সমগ্র জঙ্গলমহলে (Jangalmahal)। ওইদিন সকাল থেকেই শুনশান ছিল রাস্তাঘাট। বেলপাহাড়ি, লালগড়, বারিকুল সহ বিনপুর ১ ও ২ ব্লক, জামবনি ব্লক, এমনকি পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা, শালবনি, গোয়ালতোড়েও ওই দিন বনধের প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। সমস্ত বাজার-দোকান ছিল বন্ধ। গড়ায়নি কোনও বেসরকারি বাস, অটো, ট্যাক্সির চাকা।