নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: ছটপুজো উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের জলাশয় এবং নদীতে ভিড় করতে থাকেন পূণ্যার্থীরা। আর তাঁদের সঙ্গে ছটপুজোর আনন্দ ভাগ করে নিতে এবং পুজো দিতে হাজির হলেন রাজ্যের বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। নেতা-মন্ত্রীরা যে সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেন. সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু স্বয়ং মন্ত্রী যদি ভোর চারটের সময় একা স্কুটি চালিয়ে কোনও রকম নিরাপত্তা ছাড়াই তিন কিলোমিটারের বেশি পথ বেয়ে পৌঁছে গেলেন ছটপুজোর ঘাটে।
এদিন ভোরে বাড়ি থেকে বীরবাহা একাই স্কুটি নিয়ে পৌঁছে যান ঝাড়গ্রাম সার্কাস ময়দানে। সেখানেই পূণ্যার্থীরা জড়ো হয়েছিলেন ছটপুজোর উদ্দেশ্যে। আর আচমকাই মন্ত্রীকে হাতের নাগালে পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ। বীরবাহা এদিন পূণ্যার্থীদের ছটপুজোর শুভেচ্ছা দিলেন। পাশাপাশি তিনি পুজোও করলেন। কেন তিনি নিরাপত্তারক্ষীদের ছাড়া একাই স্কুটি চালিয়ে এখানে এসেছেন এই প্রশ্নের উত্তরে বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, আমি ঝাড়গ্রামের মেয়ে। এখানে ঘুরতে গেলে আমার নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ছটপুজো উপলক্ষ্যে মেদিনীপুর কংসাবতী নদীতে উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের বিধায়ক তথা টলি অভিনেত্রী জুন মালিয়া। তিনি কংসাবতী নদীতে পূণ্যার্থীদের সঙ্গে সূর্যনারায়ণ ও গঙ্গামাতার পুজো করেন। পাশাপাশি প্রদীপ হাতে আরতি করতেও দেখা গেল জুন মালিয়াকে। জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা বিধায়ককে হাতের নাগালে পেয়ে উচ্ছ্বসিত ছটপুজোর জন্য জড়ো হওয়া পূণ্যার্থীরা। জুন মালিয়া তাঁদের ছটপুজোর শুভেচ্ছাও জানালেন। পাশাপাশি নদীর হাঁটু জলে নেমে পুজোও সারলেন।