নিজস্ব প্রতিনিধি: সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল পুরোদমে। কিন্তু আপাতত আলাপন অধ্যায় Closed Chapter। তাই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) অতিবড় আপত্তি সত্ত্বেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) পাশেই দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। নবান্নে পাঠালেন চিঠি। সেই চিঠিতেই কার্যত ছাড়পত্র দেওয়া হল বাংলার মুখ্যসচিবের পদে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর(Hari Krishna Diwadi) মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদনে। রাজ্যের তরফেই কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল যাতে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কার্যকালের মেয়াদ আর একটু বাড়ানো যায়। বাংলার শাসক দলের সঙ্গে কেন্দ্রের শাসক দলের রাজনৈতিক স্তরের বিরোধ যে পর্যায়ে পৌঁছেছিল এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যেভাবে উঠেপড়ে লেগেছিলেন দ্বিবেদী অপসারণে তাতে তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি না পাওয়ার সম্ভবনাই বেশি দেখা যাচ্ছিল। ঘটনাচক্রে এদিনই বাংলার মুখ্যসচিব পদে ছিল হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কর্মজীবনের শেষ দিন। আর এদিন সকালেই কেন্দ্র থেকে এল চিঠি, যাতে তাঁর কাজের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়ে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।
আরও পড়ুন CGO Complex-এ ED’র কার্যালয়ে সায়নী, দিলেন সহযোগিতার বার্তা
নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের মুখ্যসচিব হিসাবে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত চিঠি না-আসায় প্রশাসনিক মহল খানিকটা উদ্বেগে ছিল। কিন্তু তার সঙ্গেই আশাবাদীও ছিল যে, শুক্রবার দিন শেষের আগেই ওই সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ছাড়পত্র এসে যাবে। বাস্তবেও তেমনই ঘটেছে। দ্বিবেদীর মেয়াদ বেড়ে যাওয়ার ফলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য প্রশাসনে কোনও রদবদল প্রয়োজন হচ্ছে না। সেদিক দিয়ে আশ্বস্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কারণ, প্রশাসনে দ্বিবেদী তাঁর ‘আস্থাভাজন’ বলেই পরিচিত। তবে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে রাজনীতির মঞ্চে সব থেকে বড় ধাক্কা খেলেন নিঃসন্দেহে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেননা তিনি নিজে দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে(Amit Shah) অনুরোধ করেছিলেন যাতে দ্বিবেদীর মেয়াদ আর না বাড়ানো হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল শাহি দরবারের আর্জি খারিজ হয়ে গেল প্রধানমন্ত্রীর দরবারে। প্রকাশ্যেই মমতার পাশে দাঁড়ালেন মোদি। এবার বাংলা থেকে রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে বঙ্গ বিজেপি থেকে কে যাবেন সেই প্রশ্নেও সম্ভবত ধাক্কা খেতে চলেছেন শুভেন্দু। কেনহ্না তাঁর পছন্দের প্রার্থী মিঠুন চক্রবর্তীর নামের পাশে সম্ভবত সায় নেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। বরঞ্চ সেই পদে প্রার্থী হিসাবে সম্ভাবনা বাড়ছে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের।