নিজস্ব প্রতিনিধি: বহু কষ্ট করে টাকা জমিয়েছিলেন জ্যোৎস্না সিংহ। শেষ সম্বলের জন্য তিলতিল করে জমিয়েছিলেন প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। ভরসা করে টাকা রেখেছিলেন তমলুকের স্টেস্ট ব্যাঙ্কের ব্যাঙ্কমিত্র শাখায়। সম্প্রতি ব্যাঙ্কে গিয়ে তিনি দেখেন পড়ে আছে মাত্র ১৮০০ টাকা। অথচ তিনি টাকা তোলেননি। তবু উধাও বিপুল টাকা। এমনই অভিযোগ ওই শাখার একাধিক গ্রাহকের। অভিযোগ ওই শাখার দায়িত্বে থাকা মাধব মাইতির বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
তমলুক থানার রামতারক এলাকার ঘটনা। ব্যাঙ্কের ওই শাখায় প্রায় ১ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা জমিয়েছিলেন জ্যোৎস্না সিংহ। অ্যাকাউন্ট চেক করতে গিয়ে দেখেন, পড়ে আছে মাত্র ১৮০০ টকা। তিনি বলেন, ঘরে ভাল ছাদ নেই। ছোট ছেলের জন্য ওই টাকা জমিয়েছিলেন তিনি। ব্যাঙ্কে কত টাকা আছে তার জন্য পাসবই আপডেট করাতে গিয়ে দেখেন মাত্র ১৮০০ টাকা পড়ে আছে। বাকি টাকা উধাও। এই খবর পেয়ে ওই শাযায় অন্যান্য গ্রাহকরাও যান। দেখতে পান। বেশিরভাগ গ্রাহকের অ্যাকাউন্টেই একই অবস্থা।
আবার এক গ্রাহক জানিয়েছিলেন প্রায় ২১ হাজার টাকা। অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখতে পান তাঁর অ্যাকাউন্টে পড়ে আছে প্রায় দেড় হাজার টাকা। এরপরেই অভিযোগ ওঠে ব্যাঙ্কের শাখার দায়িত্বে থাকা মাধব মাইতির বিরুদ্ধে। ছড়িয়ে পড়ে তুমুল উত্তেজনা। খবর যায় স্থানীয় থানায়। ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন তমলুক থানার পুলিশ (Police)। আসেন এসবিআই- এর তমলুক শাখার ম্যানেজার, বিডিও (BDO)। অভিযোগ ওই কেন্দ্র থেকে খোয়া গিয়েছে প্রায় ২- ৩ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে স্টেট ব্যাঙ্কের (SBI) কাঁকটিয়া শাখা থেকে রামতারক হাট এলাকার বল্লুক অঞ্চল অফিসের কাছে এই গ্রামীণ শাখার উদ্বোধন হয়েছিল। সম্প্রতি বারবার উঠেছিল টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ।