এই মুহূর্তে




বালু জমানায় রাজ্যে বন্ধ হয়েছে হাজারেরও বেশি রাইস মিল

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল রাজ্যের রেশন বন্টন দুর্নীতির(Ration Distribution Scam) ঘটনায় তদন্ত করতে নামা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা Enforcement Directorate বা ED’র হাতে। তাঁদের হাতে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যেতিপ্রিয় মল্লিক(Jyotipriya Mallik) থুড়ি বালুর আমলে বাংলার বুকে হাজারেরও বেশি রাইস মিল(Rice Mill) বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার জেরে গ্রাম বাংলায় কাজ হারিয়েছেন(Jobless) খুব কম করেও ৫০ হাজার মানুষ(50 Thousand People)। কেন এত বড় সংখ্যক রাইস মিল বন্ধ হয়ে গেল, এবার সেটা নিয়েই খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে দিল ED’র আধিকারিকেরা। তাঁরা এটাই দেখবেন যে, নিছক আর্থিক লোকসানের কারণে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন রাইস মিল মালিকরা নাকি সেখানে প্রাক্তন মন্ত্রীর কোনও হাত ছিল। ED আধিকারিকদের দাবি, তাঁরা এই সংক্রান্ত কিছু তথ্য পেয়েছেন। আর তাই ওই সব বন্ধ হয়ে যাওয়া রাইস মিলের মালিকদের সঙ্গে তাঁরা খুব শীঘ্রই কথা বলবেন।

রেশন বন্টন দুর্নীতির তদন্তে নেমে ED আধিকারিকরা বিভিন্ন জেলায় চলা রাইস মিলের তালিকা জোগাড় করেন। সেই তালিকা থেকে সরকারের কাছে নথিভুক্ত মিলগুলি আলাদা করা হয়। নথিভুক্ত এই মিলগুলিতেই কৃষকদের কাছ থেকে কেনা ধান থেকে চাল বানানোর কাজ হতো। এজেন্সির নজরে এসেছে বালু রাজ্যের খাদ্য দফতরের দায়িত্ব নেওয়ার আগে সবচেয়ে বেশি রাইস মিল ছিল পূর্ব বর্ধমান জেলায়। তদন্তকারীদের দাবি, বাকিবুর রহমান(Bakibur Rahaman) জেরায় তাঁদের জানিয়েছেন, বালু খাদ্যমন্ত্রী হওয়ার পর হঠাৎ করে উত্তর ২৪ পরগনায় রাইস মিলের সংখ্যা বেড়ে যায়। এর মধ্যে সিংহভাগ মিলের মালিক ছিলেন বাকিবুরই। এর বাইরেও বাকিবুর বেনামে বেশ কয়েকটি রাইস মিল খুলেছিলেন বর্ধমান, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ED’র দাবি, স্বনামে-বেনামে বাকিবুরের এই মিলগুলি তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বর্ধমান, নদীয়া সহ বেশ কয়েকটি জেলা মিলিয়ে হাজারখানেকের বেশি রাইস মিল বন্ধ হয়ে যায়।    

উদ্ধার হওয়া রেজিস্টার বুক ঘেঁটে ED’র আধিকারিকেরা জেনেছেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া মিলগুলিতেই একসময়ে সবচেয়ে বেশি ধান আসত। বালু জমানার প্রথম দিকে তারা ভালই কাজ পেত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এখানে ধান আসার পরিমাণ কমে যায়। তার পরিবর্তে  বাকিবুরের মিলগুলিতে বেশি হারে ধান পাঠাতে শুরু করে খাদ্য দফতর। তদন্তকারীদের সন্দেহ, বিষয়টি নিয়ে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাকিবুরের গোপন বোঝাপড়া হয়েছিল। বাকিবুর ED’র কাছে দাবি করেছেন, আসলে অন্য মিলগুলি অবৈধ কাজকর্মে রাজি হচ্ছিল না। বিভিন্ন রাইস মিল মালিকের কাছ থেকে তাঁরা Fake Invoice কিনতেন যাতে খাতায়-কলমে দেখানো যায়, মাল পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনও গরমিল নেই। কিন্তু সিংহভাগ রাইস মিল মালিক Fake Invoice তৈরি করতে রাজি হচ্ছিলেন না। তদন্তকারীরা জেনেছেন, বাকিবুর এই সমস্ত মিল মালিকদের জানান, তাঁকে মোটা অঙ্কের কমিশন দিলে সরকারি কাজ দেওয়া হবে। তাঁরা তাতেও আগ্রহ দেখাননি।

এখন ED’র আধিকারিকদের দাবি, মন্ত্রীর প্রচ্ছন্ন মদতেই বাকিবুর প্রভাব ও জোর খাটাতে শুরু করেন ওই সব রাইস মিল মালিকদের ওপরে। খাদ্য দফতরের বিভিন্ন আধিকারিকদের সঙ্গে আগে থেকেই ঘনিষ্ঠতা ছিল বাকিবুরের। সেই প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ এনে বন্ধ হওয়া মিলগুলিতে খাদ্য দফতরের অফিসারদের দিয়ে তল্লাশি করিয়ে দেন বাকিবুর। যে কারণে সংশ্লিষ্ট রাইস মালিকরা ব্যবসা গুটিয়ে নেন বলে তথ্য পেয়েছেন ED’র আধিকারিকেরা। আর সেই সব রাইস মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্রাম বাংলার বুকে কাজ হারিয়েছেন খুব কম করেও ৫০ হাজার মানুষ।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গভীরভাবে উদ্বিগ্ন : মানস ভূঁইয়া

বাবরি মসজিদের পাল্টা মুর্শিদাবাদে তৈরি হবে রাম মন্দির

চাকরির টোপ দিয়ে মহিলাকে ‘কুরুচিকর’ মেসেজ , TMCP-র নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ

রূপনারায়ণ নদীর তীরে ‘ওড়ফুলি উদ্যান’ ছোট বড় সকলের উইকেন্ড ডেস্টিনেশন

বিটি রোডে পুলিশের গাড়িতে ধাক্কা স্কুলবাসে, আহত ১৮ কনস্টেবল

পাকিস্তানের অবৈধ সন্তান হল বাংলাদেশ : শুভেন্দু অধিকারী

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর