এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বাংলার ৭৭ হাজার বুথের মধ্যে ৩২ হাজার বুথে বিজেপির অস্তিত্বই নেই

নিজস্ব প্রতিনিধি: আইনি জট কেটে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই তাই ঘোষণা করে দেওয়া হবে বাংলার ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের(Panchayat Election) দিনক্ষণ। ঠিক এই রকম অবস্থায় সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাংলার(Bengal) ৭৭ হাজার বুথের(Booth) মধ্যে ৩২ হাজার বুথে বিজেপির(BJP) কোনও অস্তিত্বই নেই। শুধু তাই নয়, বাকি ৪৫ হাজার বুথেও যে বিজেপির উপস্থিতি খুবই দৃঢ় এমনটাও নয়। এই হাল নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে(General Election) ২৫টির বেশি আসন দখল করার খোয়াব দেখছেন। আদতে ৫টি আসনও পাবেন কিনা সন্দেহ।

আরও পড়ুন বাংলাকে ভাতে মারতে রেশনে মিলেট দিতে চায় মোদি সরকার

জানা গিয়েছে, বঙ্গ বিজেপির তৈরি করা রিপোর্টে বিশ্বাস নেই দলেরই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের! পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে ১২ মার্চ থেকে রাজ্য বিজেপি শুরু করেছিল বুথ সশক্তিকরণ অভিযান। সেই কর্মসূচির শেষে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে বঙ্গ বিজেপি যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তাতে ‘জল’ মিশেছে বলে মনে করছেন দলেরই কেন্দ্রীয় নেতারা। স্বভাবতই বিষয়টি নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে জলঘোলা শুরু হয়েছে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘দলের সিনিয়র পদাধিকারীদের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।’ উল্লেখ্য, ১২ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত বুথ সশক্তিকরণ অভিযানে নেমেছিল বিজেপি। রবিবার ছিল শেষদিন। সেদিন রাতেই কর্মসূচির ফলাফল জানতে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসে বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্যের জোন এবং বিভাগ পর্যায়ে কত সংখ্যক বুথে ৩১ জনের কমিটি গঠন সহ যাবতীয় সাংগঠনিক কার্যকলাপ সম্পন্ন করা গিয়েছে, তা জানানো হয়।

আরও পড়ুন পঞ্চায়েত নির্বাচনের জট কাটল, হস্তক্ষেপে নারাজ আদালত

সেখানে দাবি করা হয়, বিজেপি এখনও পর্যন্ত কমবেশি ৬০ শতাংশ বুথে পৌঁছতে পেরেছে। অর্থাৎ ৪০ শতাংশ বুথে পদ্ম-পার্টির প্রতিনিধিত্ব নেই। রাজ্যের প্রায় ৭৭ হাজারের মধ্যে ৩২ হাজার বুথে বিজেপি কার্যত অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগছে। বঙ্গ বিজেপি যে ৬০ শতাংশ বুথে পৌঁছনোর দাবি করছে, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন দলেরই কেন্দ্রীয় নেতারা। কেননা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পর্যবেক্ষণ, প্রত্যেকবার দেখা যায়, এই ধরনের রিপোর্টিং, ডেটা পেশের ক্ষেত্রে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলা এগিয়ে থাকে। কিন্তু বাস্তব অন্য কথা বলে। তাই এই পরিসংখ্যানে জল কতটা, তা মূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। বঙ্গ বিজেপির নেতাদের যারা চেনেন তাঁদের দাবি, বাংলা থেকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে রিপোর্ট পাঠানোর চল নতুন নয়। বহু ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সেই রিপোর্টে ছাঁকনি লাগানোর পর আসল চিত্র বুঝতে পেরেছেন। ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য দিতে যে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল, তাতে ক্ষতিপূরণ প্রাপকের নাম, ঠিকানা, পরিচয় ইত্যাদি অনেক ভুল ছিল। সদস্য সংগ্রহ অভিযান, জেলা বা বুথ পর্যায়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের রিপোর্টেও কাল্পনিক বয়ান কেন্দ্রে পৌঁছেছিল।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রবিবার দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় তাপপ্রবাহের ‘লাল সর্তকতা’ জারি করল আবহাওয়া দফতর

‘সমুদ্রসাথী’ প্রকল্পে মৎস্যজীবীদের নাম নথিভুক্ত নিয়ে বিভ্রাট, ক্ষুব্ধ মৎস্যজীবীরা

‘এ রাজ্যে তো কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপি ভাই-ভাই সঙ্ঘ’, কটাক্ষ মমতার

‘কে কী খাবে তা নিয়ে আপনারা কেন ধমকাবেন’, প্রশ্ন ক্ষুব্ধ মমতার

‘কাকে সুবিধা করিয়ে দেওয়ার জন্য ৩ মাস ধরে ভোট’, প্রশ্ন মমতার

ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইলে চাষের জমিতে দুটি হাতির লড়াইয়ে ২ বিঘা জমির ধান নষ্ট

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর