নিজস্ব প্রতিনিধি: সমাজে মায়ের স্থান সকলের উপরে। আর সেই মা’ই কিনা নিজের মেয়ের ধর্ষণের জন্য দায়ী! একবার নয় লাগাতার নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করত মায়ের প্রেমিক। কিন্তু কিছুই বলত না মা, উল্টে প্রেমিককে উৎসাহ দিত। এমনই হাড় হিম করা তথ্য সামনে এসেছে। ঘটনায় প্রেমিক ও নির্যাতিতা নাবালিকার মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানা এলাকায়। ওই এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা স্বামী থাকা সত্বেও শরীরের খিদে মেটাতে পর পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। দীর্ঘ পাঁচবছর ধরে সেই পুরুষের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওই মহিলা। পাড়ার লোকেরা শুরু করেন কানাঘুষো। যার জেরেই নিজের মেয়ের গৃহশিক্ষক হিসেবে ওই পুরুষকে নিযুক্ত করে আরও কাছে টেনে নেন ওই মহিলা।
তারপরেই ভয়ানক কাণ্ড ঘটতে থাকে। বাড়িতে পড়ানোর নামে ওই ১৫ বছরের নাবালিকাকে লাগাতার দীর্ঘ দু’বছর ধরে ধর্ষণ করেছেন গুণধর শিক্ষক। একবার নয়, গত দু-বছরে ওই নাবালিকাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা নাবালিকা তার মা-কে জানালে মা তার মেয়েকে চুপ করে যেতে বলে। এমনকি ওই নাবালিকার মায়ের প্রেমিকা আষ্ঠেপিষ্ঠে যৌন সুখ ভোগ করতে গিয়ে প্রেগন্যান্ট করে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে নাবালিকা মেয়েটিকে জোর করেই গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট খাওয়ান মা। সবকিছু চুপ করে সহ্য করলেও সীমা পার করে যাচ্ছিল বিষয়টি। এই শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেড়ে নিজের বৃদ্ধ ঠাকুমাকে বিষয়টি সাহস করে বলে ওই নাবালিকা।
তখন বৃদ্ধা ঠাকুমা নাতনিকে বাঁচাতে চাইল্ড হেল্পলাইনে ফোন করে ঘটনার কথা জানান। এরপর শনিবার চাইল্ড হেল্পলাইনের বনগাঁ শাখার পক্ষ থেকে গোপালনগর থানায় ঘটনার কথা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। যার ভিত্তিতে শনিবার রাতেই গ্রেফতার হন ওই নাবালিকার মা ও ধর্ষণকারী প্রেমিক। ধৃতদের বিরুদ্ধে POCSO ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। রবিবার তাদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।