নিজস্ব প্রতিনিধি: টেবিলের উপর পড়ে রয়েছে মদের বোতল, গ্লাস। ডাইনিং টেবিলের পাশে মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছেন এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি শহরের দিশারী মোড়ের একটি বন্ধ ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে এমন অবস্থায় উদ্ধার করা হল আদতে ওড়িশার বাসিন্দা এক বেসরকারি সংস্থার কর্মীর দেহ। কী ভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হল তা নিয়ে ঘনিয়েছে রহস্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম দুর্যোধন বারিক। তিনি একটি বহুজাতিক নরম পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। বন্ধ ফ্ল্যাটের ভেতর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু নাকি ঘটনার পেছনে লুকিয়ে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্যোধন বারিক জলপাইগুড়ি শহরের দিশারী মোড়ের একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। দুর্যোধন কোকাকোলা কোম্পানির জলপাইগুড়ি রানী নগর প্ল্যান্টের কর্মী। তিনি ওড়িশার বাসিন্দা। গত কয়েকদিন ধরে তার সঙ্গে অফিস কর্মীরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাচ্ছিলেন না। সেই বাড়ির লোকজনও ওই ব্যক্তির কোনও সাড়া শব্দ পাচ্ছিলেন না। এরপর খবর দেওয়া হয় কোতোয়ালি থানায়। কোতোয়ালি থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। দু তিন দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় কাউন্সিলর অম্লান মুন্সি জানিয়েছেন, ‘দরজা ভেতর থেকে বন্ধই ছিলো। বাড়িতে একাই থাকতেন ওই ব্যক্তি। সংস্থার কর্মীরা ডাকাডাকি করে সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে তালা ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখেন ডাইনিং টেবিলের পাশে মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে দেহ। দেহ উদ্ধার করে পুলিশ নিয়ে গেছে।’