নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে মাটির বাড়ি কত আছে জানতে চেয়ে জেলায় জেলায় চিঠি দিয়ে জানতে চাইল নবান্ন। গ্রামাঞ্চলে কাঁচা বাড়ির প্রকৃত সংখ্যা জানতে চেয়ে নবান্ন থেকে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা ও সিভিল ডিফেন্স দফতর এই চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে আগামী ২৭ এপ্রিলের মধ্যে জেলা প্রসাসনকে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে কাঁচা বাড়ির সংখ্যা নিয়ে একটি ডেটাবেস তৈরী করতে চাইছে রাজ্য। ঠিক কী কারণে এই ডেটাবেস তৈরী করার উদ্যোগ নেওয়া হল তার স্পষ্ট কারণ চিঠিতে উল্লেখ না থাকলেও প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশ মনে করছেন, বাংলায় বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে। সেই দুর্যোগে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কাঁচা বাড়ি। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা পরিস্থিতিতে কাঁচা বাড়িতে বসবাসকারী মানুষ সঙ্কটের মধ্যে পড়েন। বিপর্যয়ের সময় যাতে দ্রুত এই সব বাড়ির মানুষকে দ্রুত উদ্ধার করা যায় সেই কারণে তার আগাম তালিকা প্রস্তুত রাখতে চাইছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর ক্ষয়ক্ষতি নিয়েও আগাম ধারণা পাওয়া যেতে পারে এই ডেটাবেসের মাধ্যমে।
প্রশাসনের অনেক আধিকারিক আবার বলছেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর বেশকিছু জেলায় ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সময় ‘বিড়ম্বনায়’ পড়তে হয় প্রশাসনকে। কারণ বহু ভুয়ো আবেদনও জমা পড়ে ক্ষতিপূরণ চেয়ে। সেক্ষেত্রে যদি কোনও ডেটাবেস থাকে কাঁচা বাড়ির সংখ্যা নিয়ে তাহলে ঘূর্ণিঝড়ের মতো বিপর্যয়ের পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের রিপোর্ট দেখে তা মিলিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এই বিষয়টি নিয়ে বাঁকুড়া জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ) প্রলয় রায়চৌধুরী বলেন, কাঁচা বাড়ির সংখ্যা জানতে চেয়ে রাজ্যের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমরা সেই সংখ্যা খুঁজে বের করতে ব্লকগুলিকে বলেছি। অন্যদিকে উর্ধ্বতন বিভাগ থেকে নির্দেশিকা আসায় ব্লক প্রশাসন দ্রুত সমীক্ষায় নেমেছে। সমীক্ষা করে পঞ্চায়েত পিছু কত কাঁচা বাড়ি রয়েছে তার তালিকা তৈরী শুরু করেছে।