নিজস্ব প্রতিনিধি: তাঁর কলমের জাদুতে হাসি ফোটে শিশুদের। আট থেকে আশি সবাইকে মুগ্ধ করাতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। বাংলার কমিক জগতকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন তিনি। একাধিক কার্টুন চরিত্র হাঁদাভোঁদা, নন্টেফন্টে কিংবা বাঁটুল দ্য গ্রেট মানেই তিনি। এখানে আলোচনা করা হচ্ছে কিংবদন্তি নারায়ণ দেবনাথকে নিয়ে। প্রখ্যাত এই কার্টুনিস্টকে নিয়েও রাজনীতি করতে ছাড়েনি কেন্দ্রীয় সরকার। একুশের নির্বাচনের আগে বাংলার এই প্রখ্যাত কার্টুনিস্টকে পদ্মশ্রী দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সেই ঘোষণাই সার এখনও হাতে আসেনি পদ্মশ্রী। প্রায় দশমাস অতিক্রান্ত ভোট শেষ প্রতিশ্রুতি শেষ কেন্দ্রের।
২০২১-এর পদ্মসম্মান প্রাপক রাজ্যের সাতজনের মধ্যে অন্যতম প্রাপক ছিলেন হাওড়ার শিবপুরের বাসিন্দা কিংবদন্তী কার্টুনিস্ট নারায়াণ দেবনাথ। ৯৮ বছর বয়সী নারায়ণবাবু অসুস্থ, শয্যাশায়ী। কথা ছিল তাঁর তরফে পদ্ম সম্মান আনতে যাবে দু’জন সদস্য। পরবর্তীতে বলা হয়, কাউকে দিল্লি যেতে হবে না নারায়াণ দেবনাথ বাবুর বাড়িতে পাঠানো হবে পদ্মশ্রী। কিন্তু সেই ঘোষণাই সার। এখনও হাতে ওঠেনি পদ্ম সম্মান। নারায়ণবাবুর ছেলে তাপস দেবনাথ জানিয়েছেন, ‘খেতাব আনতে আমাদের পরিবারের তরফে যাওয়ার কথা ছিল আমার ছোট মেয়ে অ্যালিসিয়া ও দিদির ছেলে স্বর্ণাভর। তারপর কেন্দ্রের তরফে জানানো হয় দিল্লি যাওয়ার দরকার নেই। বাড়িতেই পৌঁছে দেওয়া হবে অভিজ্ঞানপত্র। আর কোনও যোগাযোগ করা হয়নি।’
২০১৩ সালে সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন নারায়াণ দেবনাথ। তাপসবাবু জানিয়েছেন, ‘কবে পদ্মশ্রী খেতাব হাতে আসবে, আমরা উদগ্রীব হয়ে আছি। কার সঙ্গে যোগাযোগ করব জানি না। পুরোটাই অন্ধকারে।’ ভোটের জন্য এইভাবে একজন প্রখ্যাত শিল্পীর সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলাতে ক্ষুদ্ধ বিদ্বজনেরা।