নিজস্ব প্রতিনিধি: অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের নাম নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। সাধারণ মানুষের নজরে এখন তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ। কীভাবে অল্প সময়ে বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন তাঁরা, তা নিয়ে রয়ে গিয়েছে রহস্য।
বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ নাসির সেখ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বীরভূমের একাধিক রাস্তায় প্রতি গাড়ি থেকে দেদার টোল আদায় করেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে বীরভূমের দেউচায় বেআইনি ব্যবসা চালানোরও অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জান গিয়েছে, এই নাসির শেখ তেরো বছর আগে শান্তিনিকেতনে মুরগি বিক্রি করতেন। পরে অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে তাঁর উত্থান হয়। ২০১৪ সালের পর থেকে নাসির সেখ একের পর এক বালিঘাট দখল করে বলে অভিযোগ ওঠে। বীরভূমের বহু টোলও নাসির দখল নিতে শুরু করে বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁর সম্পত্তি দেখলে চোখ কপালে উঠবে সাধারণ মানুষের। গুরুপল্লী এলাকায় প্রাসাদোপম বাড়ি-সহ গোটা দশেক দেশি-বিদেশী সংস্থার দামি গাড়িও রয়েছে।
অন্যদিকে গরু পাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হক যার কাছে পাচার বিদ্যা শিখেছিলেন সেই রাধেশ্যাম সাউও নিখোঁজ। তাঁর কোনও পাত্তা পাওয়া যাচ্ছে না এলাকায়। গরু পাচার চক্রে তাঁর নাম নতুন নয়। এর আগে থেকেই তাঁর নামে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল গরু পাচার মামলায়। অভিযোগ, এই পন্ডিত ওরফে রাধেশ্যাম সাউ হুগলি জেলার পাণ্ডুয়ার কুখ্যাত গরুপাচারকারী হিসাবে পরিচিত। বর্তমানে নিজের কারবার ফেঁদে বসেছেন বীরভূমে। বীরভূমের ইলামবাজারে বসেই রাধেশ্যাম গরু পাচারের সিন্ডিকেট সক্রিয় করেছে বলে অভিযোগ। রাধেশ্যাম সাউ এনামুল হকের কাছ থেকে পাচার বিদ্যা শিখেছিলেন বলে দাবি স্থানীয় লোকজনের। জানা গিয়েছে, বীরভূমের সুখবাজারে প্রাসাদোপ্রম বাড়ি রয়েছে রাধেশ্যাম সাউয়ের। তবে সেটি বর্তমানে নির্মীয়মাণ অবস্থায় রয়েছে। বীরভূমে এই পণ্ডিত ওরফে রাধেশ্যামের হাত ধরেই ফের গরু পাচারের সিন্ডিকেট সক্রিয় হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
