এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বাংলার ২ কোটি রেশন গ্রাহকের E-KYC সম্পূর্ণ করতে উদ্যোগী নবান্ন

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: রেশন বন্টন ব্যবস্থায় দুর্নীতির(Corruption in Ration Distribution System) অভিযোগ ওঠায় আদালতের নির্দেশে তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা Enforcement Department বা ED। সেই সূত্রেই তাঁদের হাতে পুজোর আগেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। তদন্তকারীদের দাবি এখনও পর্যন্ত তাঁর প্রায় ১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। বাকিবুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই তদন্তকারীরা গতকাল সাতসকালে হানা দেন রাজ্যের বর্তমান বনমন্ত্রীর বাড়িতে। সেখানে টানা ২১ ঘন্টার তল্লাশি শেষে এদিন ভোররাতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার(Jyotipriya Mallik Arrested) করেছে ED। সেই গ্রেফতারির মধ্যেই এবার জানা যাচ্ছে, রাজ্যের ৮ কোটি ৮৫ লক্ষ সক্রিয় রেশন গ্রাহকের(Ration Customer) মধ্যে প্রায় ২ কোটি গ্রাহকদের এখনও E-KYC সম্পূর্ণ হয়নি। সেই কারণেই রাজ্য সরকার(West Bengal State Government) সিদ্ধান্ত নিয়েছে দ্রুত এই সব গ্রাহকদের E-KYC সম্পূর্ণ করা হবে। ইতিমধ্যেই সেই কারণে রাজ্যের খাদ্য দফতরকে(West Bengal State Food Department) বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। মূলত রেশন বণ্টন ব্যবস্থায় আরও স্বচ্ছতা আনতেই এই উদ্যোগ।

খাদ্য দফতরকে দেওয়া নির্দেশে সাফ জানানো হয়েছে যে, যে সব রেশন গ্রাহকের এখনও E-KYC সম্পূর্ণ হয়নি তাঁদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে রেশন ডিলাররা যেন সেই কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার কথা জানান। প্রয়োজনে এই রেশন ডিলাররাই ওই সব গ্রাহকের বাড়িতে গিয়ে E-KYC সম্পূর্ণ করবেন। সাধারণত রেশন গ্রাহকের আধারের বায়োমেট্রিক যাচাই করে E-KYC প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। রাজ্যের রেশন গ্রাহকদের একটা বড় অংশকে আধার নম্বর দেওয়া হলেও তাঁদের E-KYC সম্পূর্ণ হয়নি। এই ধরনের গ্রাহকের সংখ্যা ২ কোটির মতো। এদেরই এখন দ্রুত E-KYC সম্পূর্ণ করতে চাইছে নবান্ন। রাজ্যের খাদ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখন রেশনে খাদ্য বণ্টনের ক্ষেত্রে ৯৯ শতাংশের বেশি লেনদেন আধারের বায়োমেট্রিক যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই হচ্ছে। পরিবারের একজন সদস্যের E-KYC সম্পন্ন করা থাকলেও তিনি বাকি সদস্যদের জন্য বরাদ্দ খাদ্য সংগ্রহ করতে পারেন। পরিবারের কোনও লোকের E-KYC করা না-থাকলেও এটা সম্ভব। কিন্তু রাজ্য সরকার এখন এই সব পরিবারের সকল সদস্যেরই E-KYC করে নিতে চাইছে।

রাজ্যের কোনও পরিবারের যেসব সদস্যের E-KYC হয়নি, রাজ্যের খাদ্য দফতরের পোর্টালে তাঁদের নাম নীল রঙে চিহ্নিত করা আছে। খাদ্য দফতরের স্থানীয় অফিসগুলি থেকে রেশন ডিলারদের বলা হয়েছে, যেসব পরিবারের সকলের E-KYC হয়নি, তাঁদের কেউ খাদ্য সংগ্রহ করতে এলে বকেয়া কাজটি দ্রুত সেরে নিতে বলতে হবে। খাদ্য দফতর জানিয়েছে, পরিবারের সব সদস্যের E-KYC করা থাকলে সেই পরিবারটিরই সুবিধা হবে। কারণ পরিবারের E-KYC সম্পন্ন করা একমাত্র সদস্য কোনও কারণে অনুপস্থিত থাকলে পুরো পরিবারই রেশন থেকে বঞ্চিত হতে পারে। সকলের E-KYC করা থাকলে এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব। রাজ্যের সব রেশন গ্রাহকের E-KYC প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য রাজ্য সরকার খাদ্য দফতরকে দু’বছর ধরে বারবার নির্দেশ দিয়েছে। প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে প্রথম দিকে এজেন্সি নিয়োগ করে বাড়ি বাড়িও যাওয়া হয়। এলাকাভিত্তিক বিশেষ শিবির খোলা হয়েছিল একাধিক দফায়। রেশন ডিলারদের মাধ্যমে দোকানে ও বাড়িতে গিয়ে E-KYC প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়। এজন্য অতিরিক্ত কমিশনও দেওয়া হয় রেশন ডিলারদের। রাজ্যের জেলায় জেলায় ছড়িয়ে থাকা খাদ্য দফতরের অফিস এবং বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলি থেকেও এটা করা যায়। তা সত্ত্বেও বহু সংখ্যক গ্রাহকের E-KYC বাকি পড়ে রয়েছে। এবার আর সেই কাজ ফেলে রাখতে চাইছে না রাজ্য সরকার। দ্রুত সেই কাজ শেষ করতে চাইছে তাঁরা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপি নেতাদের জবাব দিতে হবে’, সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক  অভিষেক

দাদাগিরি! মেজাজ হারিয়ে মহকুমা শাসককে ধাক্কা রাহুল সিনহার

‘সন্দেশখালির ঘটনা পুরোটাই বানান’, বিজেপিকে তোপ অভিষেকের

বঙ্গে তৃতীয় দফার লোকসভা ভোটে ঘনিয়ে আসছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সর্তকতা জারি

শান্তনুকে হারাতে মতুয়াদের ওপরেই আস্থা সুমিতার

দাবদাহের মধ্যে ফসল বাঁচানোর অক্লান্ত প্রচেষ্টা মাঠ ঘাটের চাষীদের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর