নিজস্ব প্রতিনিধি: গোপন পথে খবর এসেছিল আগেই। বস্তার পর বস্তা বন্দি কেজি কেজি গাঁজা(Ganja) ঢুকছে কলকাতার বাজারে। সেখান থেকে তা পাচার হবে ভিন্ন রাজ্যে। সেই খবরের ভিত্তিতেই সজাগ হয়ে উঠেছিলেন নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো(NCB) বা এনসিবি’র আধিকারিকেরা। তার জেরে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে হাওড়া(Howrah) শহরের প্রান্ত ছুঁয়ে চলে যাওয়া ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে পাকড়াও করা হল ৬জনকে। সেই সঙ্গে আটক হল ৪০০ কেজি গাঁজা যার বর্তমান বাজারদর প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে ওই গাঁজা পাঠানো হয়েছে ওড়িশার কটক(Cuttuck) থেকে। বাংলা(Bengal) হয়ে তা উত্তর-পূর্ব ভারত ও সিকিমে পাচার করার ছক ছিল। কিছু গাঁজা পাঠানো হত বিহার ও উত্তরপ্রদেশেও।
এনসিবি’র আধিকারিকদের দাবি, গোপন সূত্রে তাঁদের কাছে খবর এসেছিল দক্ষিণ ভারত থেকে সড়ক পথে বিপুল পরিমাণ গাঁজা আসছে কলকাতায়। পরে তা পাচার করা হবে দেশের অনান্য রাজ্যে। সেই খবরের ভিত্তিতেই, শুক্রবার রাতে এনসিবি’র আধিকারিকেরা ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘাঁটি গাড়েন। রাত ১টা নাগাদ তাঁরা সলপে একটি ট্রাকের সন্দেহজনক গতিবিধি নজর করেন। সেই গাড়িতে ছিল ৩জন। তাদের আটকে গাড়িতে তল্লাশি চালাতেই বার হয় বস্তা বস্তা গাঁজা। একই সঙ্গে সেই লরিকে রাস্তা দেখানোর জন্য হাজির হওয়া একটি গাড়ি ও তাতে থাকা আরও ৩জনকে ধরতে সক্ষম হন এনসিবি’র আধিকারিকেরা।
যে ৬জনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ তারা হল পবিত্র নায়েক, সৌম্যরঞ্জন নায়েক, মহম্মদ রফিজউদ্দিন ইসলাম, মহম্মদ সফিকুল আলম, মন্টু পাল ও নিমাই ঘোষ। এদের মধ্যে প্রথম ২জনের বাড়ি ওড়িশায়। বাকিরা এ রাজ্যেরই বাসিন্দা। এই ৬জনকেই এদিন আদালতে তোলা হয়েছে। এই ঘটনায় এনসিবি আধিকারিকদের দাবি, ৪০০কেজি গাঁজা আটক ও এই গ্রেফতারির এই ঘটনায় আন্তঃরাজ্য পাচার চক্রের মেরুদণ্ডটাই কার্যত ভেঙে গেল।