নিজস্ব প্রতিনিধি, বালুরঘাট: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর থেকেই বিজেপিতে ভাঙ্গন অব্যাহত। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই বিজেপি নেতা-কর্মীরা দলে দলে যোগ দিচ্ছেন শাসকশিবিরে। কখনও বিধায়ক বা কখনও সংসদ পদ্মশিবির ছেড়ে জোড়াফুলে যোগ দিয়েছেন। এবার বড় ভাঙ্গন দেখা দিল বিজেপি রাজ্য সভাপতির খাসতালুকেই। সোমবার এক অনুষ্ঠানে প্রায় ৭৫০ বিজেপি কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এরমধ্যে তিনজন বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য এবং একজন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতির এলাকা বালুরঘাটে বিজেপিতে ভাঙ্গনে শোরগোল পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যদের বক্তব্য, জেলা নেতাদের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও দিশাহীন রাজনীতির জন্যই তাঁরা হতাশ। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের পথে সামিল হতেই তৃণমূলে যোগদান। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের এলাকা বালুরঘাট ব্লকের বোয়ালদা সোদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন সদস্যের মধ্যে একজন গীতাঞ্জলি সরকার বর্মন জানিয়েছেন, বিজেপির দিশাহীন রাজনীতির জেরে এলাকায় কোনও কাজ করতে পারছি না। তাই মানুষকে পরিষেবা পৌঁছে দিতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে সামিল হলাম। বোয়ালদা থেকে নির্বাচিত বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সিদুল কিস্কু একই কথা বলেন।
যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, ভয় ও ভীতির জেরেই ওই পঞ্চায়েত সদস্যরা তৃণমূলে গিয়েছেন। শাসকদল এখানে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এছাড়া বিডিওরা কোনও বিজেপি সদস্যদের কোনও উন্নয়নমূলক কাজের অনুমোদন দিচ্ছেন না বলেও অভিযোগ বিজেপি জেলা নেতৃত্বের। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, ওরা তৃণমূলেই ছিলেন, বিজেপিতে গিয়ে মোহভঙ্গ হয়ে ফের পুরোনো দলে ফিরেছেন।