নিজস্ব প্রতিনিধি: পর্যটন (TOURIST) শিল্পের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার শিল্প ও সংস্কৃতি ও তুলে ধরতে চায় রাজ্য সরকার (STATE GOVT.)। আর তা করতেই রাজ্যের প্রতিটি জেলার পর্যটন কেন্দ্রে বিশ্ব বাংলা, তন্তুজ, হস্তশিল্পের সঙ্গে যুক্ত গ্রামীণ স্বনির্ভর গোষ্ঠী গুলির স্টল তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের। এই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরে কৃষ্ণ দ্বিবেদী।
জানা গিয়েছে নোটিশ পাঠিয়ে বলা হয়েছে, স্টল তৈরির জন্য উপযুক্ত জায়গা পাওয়া না গেলে অন্তত কিয়স্কের ব্যবস্থা করতে হবে। জেলা শাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে স্থান নির্বাচন করে তা পাঠাতে হবে রাজ্যের পর্যটন ও ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং কুটির শিল্প দফতর সচিবের কাছে। সেই সঙ্গে জানাতে হবে আনুষঙ্গিক বিস্তারিত তথ্য।
নবান্ন সূত্রে খবর, পুজোর আগেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রে চালু করা হবে এই ধরনের স্টল। প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে এই বিশেষ বিশেষ স্টল থাকবে অন্তত ১৫ থেকে ২০ টি। উল্লেখ্য, রাজ্যে বিভিন্ন ধরনের সার্কিট রয়েছে। আছে, নেচার- হেরিটেজ- রিলিজিয়াস- কালচারাল- টুরিস্ট সার্কিট। বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে রাজ্য তুলে ধরতে চাইছে সেই অঞ্চলের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি। তুলে ধরা হবে একাধিক লোকশিল্প। জানা গিয়েছে, বিশেষ সুযোগ দেওয়া হবে আনন্দধারা প্রকল্পের গোষ্ঠীদেরও। এই কিয়স্ক বা স্টল করতে পর্যটন কেন্দ্রের বাইরে কারও জমিও চুক্তি অনুসারে নিতে পারেন জেলা শাসকরা। তবে রাজ্যকে জানাতে হবে বিস্তারিত তথ্য। মানে জমির মালিকের নাম, কোন জায়গায় এই জমি, জমির পরিমাণ কত- এই সমস্ত তথ্য।
রাজ্যজুড়ে ইতিমধ্যেই ঠিক করা হয়েছে এরকম বেশ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র। এই তালিকায় আছে উত্তরের আলিপুরদুয়ার জেলার রাজবাঁধখাওয়া থেকে দক্ষিণের বাঁকুড়া জেলার মুকুটমনিপুর। রাজ্যজুড়ে জয়গাঁ, জলদাপাড়া জঙ্গল, কোচবিহার রাজবাড়ি, তারাপীঠ, মাইথন ড্যাম, বোটানিক্যাল গার্ডেন, নন্দন, চিড়িয়াখানা, ইকোপার্ক, জোড়াসাঁকো, দিঘা, মন্দারমণি সহ বিভিন্ন জায়গা রয়েছে। পর্যটন তালিকায় সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে কর্ণগড়। দাবি উঠছে, হেরিটেজ- টুরিস্ট- নেচার- রিলিজিয়াস ও কালচারাল মর্যাদা প্রাপ্ত কর্ণগড় ও রানি শিরোমণি গড়ে তৈরি হোক এই ধরনের স্টল ও কিয়স্ক। হেরিটেজ সার্কিটে স্থান পাক কর্ণগড়।