নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী(Chief Minister of Bengal), বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) তাঁতের শাড়ি(Tant Saree) পরতে ভালোবাসেন। চান বাংলার তাঁত শিল্পের(Tant Industry) পুনরুজ্জীবন ঘটাতে। তাঁত শিল্পের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকেই সম্মান জানাতে এবার অভিনব পন্থা নিলেন পূর্ব বর্ধমান(Purba Burdhwan) জেলার কাটোয়া-২ ব্লকের জগদানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোড়ানাশ গ্রামের বাসিন্দা ও পেশায় তন্তুবায় জগবন্ধু দালাল। তিনি একটি তাঁতের শাড়িতে আঁচলের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন। তাঁর ইচ্ছে, তিনি সেই শাড়ি তুলে দেবেন কাটোয়ার(Katwa) তৃণমূল বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে শাড়িটি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। কার্যত শাড়িটি মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার দিতে চান জগবন্ধু।
আরও পড়ুন সম্পত্তি কর বাড়ান, নয়া ফরমান কেন্দ্রের, ক্ষুব্ধ নবান্ন
জগদানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোড়ানাশ, মুস্থুলি, একডালা, আমডাঙা ও পাঁচপাড়া গ্রামের মানুষের মূল পেশাই হল তাঁত বোনা। এই এলাকার তাঁতের কাপড়ের সুনাম দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়েছে বিদেশেও। সেই সূত্রে ছোট থেকেই বাবা গণপতি দালালের কাছে তাঁত বোনার কাজ শিখেছেন জগবন্ধু। অন্তর দিয়ে ভালবাসেন বাংলার অগ্নিকন্যা ও তৃণমূল কংগ্রেসকে। এক মাস ধরে সকাল বিকেল পরিশ্রম করে ১৫ হাত দীর্ঘ তাঁতের শাড়িটি বুনেছেন তিনি। এ কাজে তাঁকে সাহায্য করেছেন তাঁর বাবা গণপতি, মা অণিমা এবং স্ত্রী প্রতিমা। কাপড়ের উপরে সুতো দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন জগবন্ধু। শাড়ির আঁচলে ‘মা-মাটি-মানুষ’ স্লোগান লেখা হয়েছে। তার নীচে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ৪২ ইঞ্চি লম্বা ছবি। সঙ্গে রাজ্য সরকারের এগারোটি প্রকল্পের নামও রয়েছে শাড়িতে। তার পাড়ে রয়েছে ঘাসফুলের ছবি। ৮৪ ‘কাউন্ট’ সুতোর বুননে টানা ৩২ দিনের পরিশ্রমে শাড়িটি তৈরি করেছে দালাল পরিবার।
আরও পড়ুন সক্রিয় মমতার পুলিশ, কেষ্টগড়ে উদ্ধার ১২ হাজার জিলেটিন স্টিক
এই শাড়ির বুননে বা তাতে মুখ্যমন্ত্রীর ছবির সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন জগবন্ধু। তাঁর দাবি, ‘এই শাড়ির সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। ঘোড়ানাশের তাঁতশিল্পীদের তরফে আমি মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার দেওয়ার জন্যই শাড়িটি তৈরি করেছি। শাড়িটি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করব।’ তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিধায়ক অনুমতি দিলেই তাঁরা এই শাড়িই আরও বেশি করে তৈরি করার বরাত দেবেন জগবন্ধুকে। শাড়ির নাম দিতে চান তাঁরা ‘মমতা শাড়ি’(Mamata Saree)। সেই শাড়ি পরে দলের কর্মসূচী পালন করবেন দলেরই মহিলা সদস্যরা।