নিজস্ব প্রতিনিধি: জলপাইগুড়ির গাজলডোবা থেকে উদ্ধারের এক সপ্তাহ পর মৃত্যু হল এক ক্যাঙারুর। শুক্রবার শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে মৃত্যু হয় ক্যাঙারুটির।
উল্লেখ্য এক সপ্তাহ আগে জলপাইগুড়ির গাজোলডোবা ক্যানেল রোড থেকে দুটি জখম ক্যাঙারু শাবক উদ্ধার করে বৈকুণ্ঠপুর বনবিভাগের কর্মীরা। তাদের শরীরে গুরুতর আঘাত ছিল। গাজলডোবার কাছে দুটি জখম ক্যাঙারু উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টা পর, জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম বন রেঞ্জের ফারাবাড়ি নেপালি বস্তি এলাকা থেকে আরেকটি অস্ট্রেলীয় ক্যাঙারু শাবককে উদ্ধার করা হয়। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে জলপাইগুড়ি জেলায় ৩টি জীবিত ও একটি মৃত ক্যাঙারু উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া জখম ক্যাঙারুগুলিকে পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গোপন সূত্রে বন দফতরের আধিকারিকরা খবর পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া জখম ক্যাঙারুগুলি সাফারি পার্কে চিকিৎসাধীন ছিল। শুক্রবার সেখানেই মৃত্যু হয় তাদের মধ্যে একটির। মৃত ক্যাঙারুটি শারীরিকভাবে ভীষণ দুর্বল ছিল বলে জানা গিয়েছে। চিকিৎসায় বিশেষ সাড়া দিচ্ছিল না বন্যপ্রাণীটি। শেষে শুক্রবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। একটির মৃত্যু হলেও বাকি ক্যাঙারুগুলি সুস্থ রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, বেঙ্গল সাফারি পার্কে ক্যাঙারু সাফারি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। ইতিমধ্যে সে বিষয়ে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। তার মধ্যে ক্যাঙারু মৃত্যুর ঘটনা উদ্বেগজনক বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ক্যাঙারু মৃত্যু নিয়ে বেঙ্গল সাফারির পার্কের অধিকর্তা দাওয়া শেরপা বলেন, “ক্যাঙারুটি প্রথম থেকেই অসুস্থ ছিল। চিকিৎসায় খুব একটা সাড়া দিচ্ছিল না। আমরা ওকে বাঁচাতে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি”। একইসঙ্গে এই মৃত্যুর প্রভাব ক্যাঙারু সাফারিতে কোনও ভাবে পড়বে না বলে জানান তিনি।