নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও খুশির খবর বাংলার(Bengal) জন্য, উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলাবাসীর জন্য। অশোকনগরের(Ashoknagar) পরে ফের বিপুল প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ তেল ভান্ডারের সন্ধান পেল ONGC। এবার দেগঙ্গার বুকে। সেখানকার চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের হামাদামা এলাকায় আগেও ড্রিল সাইট তৈরি করে প্রাকৃতিক গ্যাসের খোঁজ চালিয়েছিল ONGC। প্রযুক্তিগত সমস্যা সহ নানান কারণে সেই সময় খুব একটা সম্ভাবনা পাওয়া যায়নি। তবে নতুন করে অনুসন্ধানের পর দেগঙ্গায়(Deganga) বিপুল সম্ভাবনার কথা উঠে আসে। সেইমতো হামাদামা বাজার এলাকায় ড্রিল সাইটের জন্য জমি চিহ্নিত করা হচ্ছে ONGC’র তরফে। সেই জমি যাতে দ্রুত লিজে পাওয়া যায় তার জন্য ONGC’র আধিকারিকেরা সেখানকার জমির মালিকদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করে দিয়েছেন। হামাদামা এলাকায় ড্রিল সাইট তৈরি করে কার্যত যুদ্ধকালিন তৎপরতায় সেখানে গ্যাস ও তেলের মজুত ভাণ্ডারের বিষয়ে আরও নিশ্চিত হতে চাইছেন ONGC’র আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে জমি দাতাদের নিয়ে একদফায় বৈঠকও সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন পুজোর আগেই পরিষেবা শুরু হাওড়া-এসপ্ল্যানেড মেট্রো রুটে
ONGC’র আধিকারিকদের দাবি, হামদামায় তেলের(Petrol) পাশাপাশি বিপুল পরিমানে প্রাকৃতিক গ্যাসের(Natural Gas) প্রাথমিক খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ড্রিল সাইটের মাধ্যমে কোন স্তরে কি পরিমান মজুদ রয়েছে তা নিশ্চিত করা হবে। এই খবরে জেলাজুড়ে খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের দাবিমতো জমির চরিত্র অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধি ও জমিদাতাদের পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থানের দাবি ONGC কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখা শুরু করেছে। ওই ড্রিল সাইট তৈরির জন্য প্রায় ১৮ বিঘা জমি প্রয়োজন। তিন বছরের জন্য ওই জমি লিজে নেওয়া হবে। তবে জমির ক্ষতিপূরণ নিয়ে চাষিদের মধ্যে কিছুটা উষ্মা তৈরি হয়েছে। ONGC হামদামায় মোট ১৮ বিঘা জমি নেবে। তার মধ্যে প্রায় ১০ বিঘা জলা জমি ও ৮ বিঘা ডাঙা জমি রয়েছে। জমির মালিকদের দাবি, ডাঙা জমির জন্য তাঁদের একটু বেশি ক্ষতিপূরণ চাই। এছাড়া জমিদাতাদের পরিবারের এক জনের কাজেরও দাবিও রয়েছে। এই বিষয়ে ONGC’র আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, আমরা চাষীদের সঙ্গে কথা বলেছি। লিজ দেওয়ার জন্য চাষিরা যে টাকার দাবি করছেন তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
আরও পড়ুন তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডেল হ্যাকারদের কবলে, চলছে উদ্ধারের চেষ্টা
ONGC জেলারই অশোকনগরের বাইগাছি এলাকার দুটি কূপ থেকে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের উত্তোলন শুরু করেছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে বাইগাছিতে প্রথম কূপ উদ্বোধনের পরই জেলাজুড়ে তেল ও গ্যাসের খোঁজ শুরু করা হয়েছিল। পরে অশোকনগরের দৌলতপুরের ড্রিল সাইট থেকেও গ্যাস ও তেলের বিপুল ভান্ডারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। বনগাঁর কামদেবপুর মৌজায় গরীবপুরেও অনুসন্ধ্যানের কাজ শুরু করা হয়েছে। এবার দেগঙ্গায় ড্রিল সাইট তৈরির উদ্যোগ বিভিন্ন মহলে উৎসাহ তৈরি করেছে। ড্রিল সাইট তৈরির সিদ্ধান্তে এলাকাবাসীর মধ্যে খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকেও উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করা হচ্ছে।