নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শরীরে পড়েছে বাধক্যের চাপ। তবুও রং তুলি হাতে নিলেই একটুও হাত না কাঁপে বছর ৮১ –এর হুগলির পান্ডুয়া বাসিন্দা দেবাশীষ বসুর। বর্তমানে তিনি সকাল থেকেই পান্ডুয়া এলাকায় করে যাচ্ছে দেওয়াল লিখনের কাজ । তবে এই কাজ করার জন্য তিনি কোন টাকা নেন না। তৃণমূল দল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালবেসেই এই কাজ করে যাচ্ছেন দেবাশীষ বসু। তাঁকে এলাকার সবাই বোস দা বলেই ডাকে।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে হুগলী কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে তাঁর নামেই হুগলী জুড়ে চলছে দেওয়াল লিখন। এলাকার কয়েকশো দেওয়াল লেখা এখন বোস দার দায়িত্ব পড়েছে। তাই সকাল থেকেই তিনি বেড়িয়ে পড়েন দেওয়াল লিখন করতে। দেবাশীষ বসু জানিয়েছেন,’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন আমার অনুপ্রেরণা। তাঁকে দেখেই আমি তৃণমূলে যোগদান করেছি। ১৯৯৩ সালে ২১ জুলাই রাইটার্স ফিল্ডিং অভিযানের সময় তৃণমূল নেত্রী যখন আহত হয়েছিলেন সেইসময় ১৩ দিন ধরে খাওয়া-দাওয়া করিনি।‘ স্থানীয় কর্মীরা জানিয়েছেন, ভোট এলেই বোস দাই হল আমাদের ভরসা।
উল্লেখ্য, ১৯৬১ সালে ম্যাট্রিক পাস বোস দা। এরপরেই তিনি হাওড়ায় আইটিআই ভর্তি হয়ে সেখান থেকে প্রেন্টার ডেকোরেটরের ট্রেনিং নেন। প্রথমে মাইল ফলকে লিখলেন। পরে তিনি হোডিং লেখা শুরু করেন। জানা গিয়েছে, তাঁর পরিবার ছিল কংগ্রেস। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন কংগ্রেস ছাড়ে তৃণমূলে যোগ দেন সেদিন থেকেই দলের একনিষ্ঠ কর্মী হলেন দেবাশীষ বসু ওরফে বোস দা।