নিজস্ব প্রতিনিধি: প্যারিস থেকে উড়ে এলেন প্যাট্রিসিয়া। সৌজন্যে ‘প্রেমের টান’। গায়ে তুলে নিলেন লাল বেনারসি। আর সাতপাকে ঘুরে বাঁধা পড়লেন পান্ডুয়ার তরুণের সঙ্গে। এখন কুন্তল ভট্টাচার্য ও প্যাস্ট্রিয়ার সাজানো সংসার পান্ডুয়ায়।
জানা গিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সিমলাগড় কালীমন্দিরে বিয়ে (MARRIAGE) হয়েছে তাঁদের। পান্ডুয়ার সারদাপল্লীর বাসিন্দা কুন্তলের সঙ্গে প্যাট্রিসিয়ার আলাপ হয়েছিল একটি ডেটিং সাইটে। শুরু হয়েছিল কথা। তারপর বন্ধুতা। কথায় কথায় বাড়তে থাকে টান। আর তারপরেই প্রেম। তারপর সোজা বিয়ে। যখন সম্পর্ক তৈরি হয় তখন কুন্তল কর্মসূত্রে থাকতেন দিল্লিতে। প্রায় ৪ মাস ধরে চলছিল এমনই। তবে এখন পান্ডুয়ায় থাকেন কুন্তল। আর একদিন দেখেন তাঁকে সারপ্রাইজ দিতে প্যাট্রিসিয়া সোজা চলে এসেছেন পান্ডু্যায়। তারপর বেশ কয়েকদিন তিনি ছিলেন কুন্তলের বাড়িতেই। অবশেষে বিয়ে হল সোমবার।
জানা গিয়েছে, বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন না দুই পরিবারের কেউ। ভাষা দুজনের আলাদা। তবে কথা হতো কেমন করে? জানা গিয়েছে, প্রথম প্রথম ভরসা ছিল গুগল ট্রান্সলেট। কুন্তল বলেন, প্যারিস থেকে প্রথমে একদিন হঠাৎ নিউ দিল্লি আসেন প্যাট্রিসিয়া। তারপর কুন্তলকে জানালে কুন্তল তাঁকে বলেন কলকাতায় আসতে। আর কলকাতা থেকে সোজা একেবারে পান্ডুয়া।
বিয়ের আগে যে ক’দিন কুন্তলের বাড়িতে ছিলেন প্যাট্রিসিয়া সেই ক’দিন কেমন কাটিয়েছেন তাঁরা? জানা গিয়েছে তাঁরা ঘুরে বেড়িয়েছেন কলকাতা, মায়াপুর সহ বিভিন্ন জায়গা। প্যাট্রিসিয়াকে ঘুরে দেখানো হয়েছে বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য- সংস্কৃতি। প্যাট্রিসিয়া জানিয়েছেন, তাঁর মন্দির ভাললাগে। তাই মন্দিরে বিয়ে। আর? তাঁর প্রিয় রেড লাইন ও রেড ডট। ভাবছেন এই দু’টো আবার কী? সিঁথির সিঁদুর হল রেড লাইন। আর রেড ডট? সেটা কপালে সিঁদুরের টিপ।