24ºc, Haze
Saturday, 1st April, 2023 8:32 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: এ যেন আরও এক জোড়া অঙ্কিতা অধিকারী। বিনা পরীক্ষায় দুই বিজেপি(BJP) বিধায়কের মেয়ে আর ছেলের বউ পেয়ে গিয়েছেন সরকারি চাকরি। যার মাস মাইনে ৩০ হাজার টাকা। অথচ সেই চাকরি পায়নি দলের জন্য কাজ করতে গিয়ে খুন হয়ে যাওয়া দলের কোনও কর্মীর পরিবারের কোনও সদস্য। আরও চমকে দেওয়ার মতো বিষয়, সেই চাকরির জন্য সুপারিশ করেছেন দলেরই সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় এখন তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে বঙ্গ বিজেপির নীচু তলার নেতা থেকে কর্মীদের মধ্যে। সেই সঙ্গে অস্বস্তি ছড়িয়েছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরেও।
রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ভাল মার্কস না পাওয়া সত্ত্বেও, পার্সোন্যালিটি টেস্টে হাজিরা না দিয়েও এসএসসি’র মাধ্যমে সরকারি চাকরি পেয়ে যাওয়ার। সেই চাকরি স্কুল শিক্ষিকার চাকরি। তা নিয়েই মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি। এই ঘটনা নিয়ে যখন শোরগোল বাংলার রাজনীতিতে, তখন দেখা গেল বিজেপির অন্দরেও এহেন জোড়া ঘটনা ঘটে গিয়েছে কার্যত নিঃশব্দে। চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে নদিয়া জেলার কল্যাণীতে গড়ে ওঠা এইমসের(Kalyani AIIMS) নার্সিং কলেজে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর পদে যোগ দিয়েছেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার(Niladri Shekhar Dana) মেয়ে মৈত্রী দানা। অথচ তিনি সেই চাকরির জন্য কোনও পরীক্ষাই দেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে অভিযোগ উঠেছে, তাঁকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিলেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় শিক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রী সুভাষ সরকার(Subhash Sarkar), যিনি আবার বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ। গল্প এখানেই শেষ নয়। মাত্র ৭ দিন আগে কল্যাণী এইমসে চাকরির নিয়োগপত্র পেয়েছেন চাকদহের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের(Bankim Ghosh) পুত্রবধূ। তিনিও কোনও পরীক্ষা দেননি।
গোটা ঘটনাটি সামনে এনেছেন এক বিজেপি কর্মী পার্থ চট্টোপাধ্যায়(Partha Chattopadhay)। তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে নালিশ ঠুকেছেন এই দুই ঘটনা জানিয়ে। পার্থবাবুর বক্তব্য, গত পঞ্চায়েত ভোট থেকে খুন হওয়া শয়ে শয়ে বিজেপি শহিদ পরিবারের সদস্যরা চাকরি পাচ্ছেন না। যোগ্য প্রার্থী থেকে তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন। অথচ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দলের রাজ্য কমিটির সদস্য দীপা বিশ্বাসের মাধ্যমে প্রভাবশালীদের ঘনিষ্ঠদের চাকরি দিচ্ছেন। সূত্রের খবর এই দুই ঘটনার জেরে শুধু পার্থবাবুই নন, ক্ষুব্ধ বঙ্গ বিজেপির সিংহভাগ নীচুতলার নেতা ও কর্মীরা। দলের অন্দরে কীভাবে এই স্বজনপোষণ চলছে তা নিয়েই এখন প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।