এই মুহূর্তে




দাসপুরের পুরুষোত্তমপুরের ভট্টাচার্য পরিবারে পূজিতা হন অষ্টাদশভুজা দুর্গা

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্রী শ্রী চণ্ডীতে(Sree Sree Chandi) বর্ণিত আছে, মহিষাসুরকে বধকালে দেবী দুর্গা একবার অষ্টাদশভুজা রূপ ধারণ করেছিলেন। যদিও আমরা মা দুর্গাকে সবাই দশভুজা বলেই জানি ও সেই রূপেই তাঁকে পুজো করি। কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুর(Paschim Midnapur) জেলার ঘাটাল(Ghatal) মহকুমার দাসপুর-১ ব্লকের পুরুষোত্তমপুর গ্রামে(Purushottampur Village) ভট্টাচার্য পরিবারে মা দুর্গা পুজিত হন অষ্টাদশভুজা হিসাবে। অর্থাৎ এখানে মা দুর্গার ১০ হাত নয়, ১৮টি হাত থাকে। এই পুজো(Bhattacharya Family Durga Puja) শুরু করেছিলেন পরিবারের পূর্বপুরুষ বাণীভূষণ চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে বাণীভূষণের বড় ছেলের বংশধররা চক্রবর্তী পদবি বহণ করে চললেও ছোট ছেলের বংশধরেরা ভট্টাচার্য উপাধি পেয়ে তা পদবি হিসাবে বহণ করতে শুরু করেন। বাণীভূষণ এই পুজো শুরু করেছিলেন বলিহারপুর গ্রামে। সেই বলিহারপুর গ্রামেরই বর্তমান নাম পুরুষোত্তমপুর। বাণীভূষণ ছিলেন সংস্কৃত পণ্ডিত। স্থানীয় জমিদার বাড়ির পুরোহিত হওয়ার পাশাপাশি তিনি গ্রামে একটি চতুষ্পাঠীও চালাতেন।

ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যদের দাবি, বাণীভূষণ স্বপ্নে অষ্টাদশভুজা দুর্গার দর্শন পেয়েছিলেন। পরে সেই স্বপ্নে দেখা দুর্গাকেই তিনি লেখার মাধ্যমে তুলে আনেন সংস্কৃত পুঁথিতে। সেই বইয়ের তিনি নাম দিয়েছিলেন, ‘দুর্গারচানকল্পমঞ্জুরি’। সেই পুঁথি রচনার পরেই তিনি নিজ বাড়িতে অষ্টাদশভুজা দুর্গার প্রচলন করেন যা আজও হয়ে চলেছে। প্রতিবছর জন্মাষ্টমীর দিন এক চালার প্রতিমা নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ১৮ হাত নিয়ে মা দুর্গা ডান পা সিঙ্ঘের পিঠে ও বাঁ পা অসুরের কাঁধে রেখে দাঁড়িয়ে থাকেন। মায়ের দুইপাশে থাকেন তাঁর ৪ ছেলেমেয়ে। মানে লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক ও সরস্বতী। মজার কথা, এখানে গণেশ ও কার্তিক মায়ের দুইপাশে ওপরের দিকে বসে থাকেন নিজ নিজ বাহণের ওপর। কিন্তু লক্ষ্মী আর সরস্বতী থাকেন নীচে দাঁড়িয়ে। তাঁদের বাহণও থাকে না। শিউলি ফুলের বোঁটার রঙে মা দুর্গার গাত্রবর্ণ এখানে। মহালয়ার আগে কৃষ্ণনবমী তিথিতে হয় মায়ের কল্পারম্ভ। তারপর ষষ্ঠীতে মাকে সপরিবারে স্থাপন করা হয় পঞ্চমুন্ডির বেদীতে। আজও ভট্টাচার্য বাড়ির পুজো হয় ‘দুর্গারচানকল্পমঞ্জুরি’ মেনেই।

পুজোর সময় সপ্তমী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত জ্বলে জাগপ্রদীপ। সন্ধিপুজোর সময় জ্বালানো হয় ১০৮ প্রদীপ। মাকে এখানে প্রতিদিনই অন্নভোগ দেওয়া হয়। তার সঙ্গে থাকে ৫ কেজি আতপ চালের নৈবেদ্য। ষষ্ঠী থেকে নবমীতে মায়ের ভোগে থাকে ভাত কচু, পুঁইশাক, চিংড়ি মাছের ঝোল, পায়েস। দশমীতে মাকে দেওয়া হয় পান্তা ভাত। এছাড়াও প্রতিদিন রাতে মাকে নিবেদন করা হয় শীতলভোগ। সঙ্গে থাকে সুরাও। আগে পশুবলির রীতি থাকলেও পরে তা বন্ধ করে চালু করা হয় ফলবলি। সপ্তমীতে দেওয়া হয় চালকুমড়ো বলি। অষ্টমিতে কোনও বলিই হয় না। তবে সন্ধি পুজোয় চালকুমড়োর পাশাপাশি আখ, শশা, বাতাবি লেবু বলি দেওয়া হয়। দশমীর দিন তালপাতায় লেখা হয় দুর্গানাম। সেদিনই প্রতিমা বিসর্জিত হলেও পুজোর ঘট বিসর্জিত হয় না। তা রেখে দেওয়া হয় কালীপুজো পর্যন্ত। 




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ঢাকার গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মিশনে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন কুমারী পুজো

পুজোর মণ্ডপে জুতো পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে অতিথিরা, দেখামাত্রই ধমক কাজলের

বাড়ির ৪০০ বছরের পুজোতে আজও নস্টালজিয়ায় ভাসেন মালা রায়

পুজোর মাঝে বানিয়ে নিন ‘পাঁঠার বাংলা’, একবার খেলে বারবার খাবেন

ছেলে-মেয়েকে নিয়ে প্যাণ্ডেল হপিং শুভশ্রীর, কাজের ফাঁকে পরিবারকে আগলে রাখছেন রাজ

দশভুজা রূপে নন, দেবী এখানে পুজিতা হন ‘দুই’ হাতেই

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর