নিজস্ব প্রতিনিধি, পিংলা: বউদির সঙ্গে দেওরের চার বছর ধরে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক। দেওর চেয়েছিল বউদিকে নিয়ে পালিয়ে যেতে। কিন্তু বউদির একটি পাঁচ বছরের সন্তান থাকায় তিনি দেওরের ডাকে সাড়া দিতে অস্বীকার করে। আত্মমর্যাদায় ধাক্কা খেয়ে দেওর শেষে বউদিকে খুনই করে ফেলল। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানা অন্তর্গত জামনা এলাকায়। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম নীলাদ্রি।
জানা গিয়েছে, পেশায় রাজমিস্ত্রি শ্রীমন্ত মাইতির স্ত্রী মৌসুমির সঙ্গে দেওর নীলাদ্রির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন শ্রীমন্ত বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে কাজ করতে গিয়েছিলেন। দুপুরে খেতে বাড়ি এসে দেখেন তাঁর স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। ওই চিৎকার শুনে এলাকার মানুষ ছুটে আসেন। তারা নীলাদ্রিকে সন্দেহ করেন। গ্রামবাসী তাঁকে জেরা করলে নীলাদ্রি অপরাধ স্বীকার করে নেয়। যদিও মৌসুমির দেহ আগেই দাহ করায় ময়নাতদন্ত সম্ভব হয়নি। ভাইয়ের বিরুদ্ধে স্ত্রী খুনের অভিযোগে থানায় অভিযোগ দায়ে করেন শ্রীমন্ত মাইতি।
শ্রীমন্তবাবু জানান, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ভাইয়ের সম্পর্কের কথা তিনি জানতেন না। দুপুরের ঘটনার পর সেই গোপন সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে এল। শ্রীমন্তবাবু ভাইয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।