নিজস্ব প্রতিনিধি: পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের মৌমিতা অধিকার ছিনিয়ে নিতে প্রায় সাত বছর পর শ্বশুরবাড়িতে পা রাখলেন তিনি। তাও আবার হাতে কুড়ুল নিয়ে।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের মৌমিতার সাথে বিয়ে হয়েছিল বিদ্যুৎ ঘোড়ুইয়ের। প্রথম দিকে সংসারে সুখ থাকলেও তাল কাটে দুই জমজ কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়ার পর। কন্যা সন্তান হওয়ার কারণে মৌমিতাকে আর বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে চায়নি শ্বশুরবাড়ির লোকরা। জোর করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাপের বাড়িতে। একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি তাতে। তাই এবার নিজের অধিকার বুঝতে অবশেষে কুড়ুল হাতে তালা ভেঙে ঘরে প্রায় সাত বছর পর শ্বশুরবাড়িতে ঢুকলেন মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার বেলিয়াঘাটা গ্রামে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, একাধিকবার গ্রামবাসী থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন মৌমিতা। কিন্তু কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার কারণে মৌমিতাকে কোনও ভাবেই বাড়িতে ঢুকতে দিতে নারাজ বিদ্যুৎ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ওই গৃহবধূর দাবি, তাঁকে ডিভোর্স না দিয়েই দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন বিদ্যুৎ।
এই নিয়ে ইতিমধ্যে মৌমিতা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন বিষয়টি। এরপর আজ মৌমিতা এলাকার কিছু মানুষজনের সহযোগিতায় স্বামীর বাড়িতে এসে প্রবেশ করেন। তবে এই খবর পেতেই দরজায় তালা লাগিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। তাই হাতে কুড়ুল নিয়ে মহিলা তালা ভেঙে স্বামীর বাড়িতে প্রবেশ করেন নিজের অধিকার বুঝে নিতে।