নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) স্বপ্নের জলস্বপ্ন(JAL Sapna) প্রকল্পে পশ্চিম মেদিনীপুর(Paschim Midnapur) জেলায় এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ১৮ হাজার বাড়িকে যুক্ত করা গিয়েছে। আর তার জেরে জেলার প্রায় ১১ লক্ষ বাসিন্দা উপকৃত হয়েছেন। প্রতিটি বাড়িতেই পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে পরিস্রুত পানীয় জলের সংযোগ। ফলে এখন আর দূরদূরান্ত থেকে পানীয় জল বয়ে আনতে হচ্ছে না বাসিন্দাদের। মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পের মাধ্যমে সারা রাজ্যে গ্রামাঞ্চলের(Ruaral Bengal) প্রতিটি বাড়িতে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। লোকসভা ভোটের আগেই প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে যাবে পরিস্রুত পানীয় জলের সংযোগ। এর জন্য বাসিন্দাদের কোনও আর্থিক ব্যয়ভার বহন করতে হবে না।
আরও পড়ুন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলেও মিলবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা এই জলপ্রকল্পে রাজ্যের অনান্য জেলার থেকে অনেক পিছিয়ে ছিল। মাত্র ২৪ শতাংশ পরিবারে পরিস্রুত পানীয় জলের সংযোগ ছিল। জেলার প্রায় ১০ লক্ষ ৫০ হাজার পরিবারকে এই প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর জন্য ৫ হাজার ৩৭ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে। নারায়ণগড় ও চন্দ্রকোণা-২ ব্লক বাদে জেলার সমস্ত ব্লকেই এই প্রকল্পে কাজ চলছে এখন জোরকদমে। এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ১৮ হাজার বাড়িতে এই প্রকল্পে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। জেলার মধ্যে এখন সবচেয়ে এগিয়ে আছে সবং ব্লক। এই ব্লকের দেভোগ পঞ্চায়েতের সব বাড়িতেই পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। তাই খুব শীঘ্রই এই গ্রাম পঞ্চায়েতকে ‘সজল পঞ্চায়েত’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসেই এই ঘোষণা হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন প্রধান শিক্ষকদের অধিকার ফিরিয়ে দিল মমতার সরকার
‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা জেলার আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার যেসব এলাকায় আগে থেকে প্রকল্প ছিল সেখানে কেবলমাত্র বাড়িতে সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য বাড়ি প্রতি খরচ হচ্ছে প্রায় ৫ হাজার টাকা। কিন্তু বেশির ভাগ এলাকায় প্রকল্প তৈরি করে সংযোগ দিতে হচ্ছে। এরজন্য প্রতি প্রকল্পে খরচ হচ্ছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। মাটির নীচ থেকে জল উত্তোলন করে তা ওভারহেড ট্যাঙ্কে ধরে রাখা হচ্ছে। সেখান থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। জেলায় এইরকম ২৮৯টি প্রকল্প তৈরি হচ্ছে। এতে প্রায় ৫০ লক্ষ বাসিন্দা উপকৃত হবেন। একটি পরিবারে ৫ জন বাসিন্দা ধরে নিয়ে মাথাপিছু ৫৫ লিটার করে জল দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। এক একটি প্রকল্পের আওতায় এক থেকে দেড় হাজার পরিবারকে যুক্ত করা হচ্ছে।
