নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুজোর বাজার করতে গিয়ে ফাঁকা হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। হ্যাঁ এরকমই অভিজ্ঞতা আম বাঙালির। একদিকে পেট্রল-ডিজেলের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি অন্যদিকে টানা বৃষ্টিতে বহু জমি জলের তলায়। এই জোড়াধাক্কায় বাজার ক্রমশ উর্ধ্বমুখী। ফলে আনাজপাতি থেকে শুরু করে চাল-ডাল-তেলের দাম আকাশছোঁয়া। ধনদেবীর আরাধনায় এখন পকেটেই টান পড়ছে আম জনতার।
মঙ্গলবার সকালেই বাজারে গিয়ে ভিরমি খাওয়ার জোগাড়। মাঝারি সাইজের ফুলকপি জোড়া ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কলকাতার বাজারে। অর্থাৎ একটি ফুলকপির দাম ৫০-৫৫ টাকা। আবার টমেটোর কেজি ১০০ টাকা, পটলেরও একই দাম। বেগুন ৮০ টাকায়, ঝিঙে ৭০ টাকায়, ঢ্যাঁড়স ৯০ টাকায়, কুমড়ো ২৫-৩০ টাকায়, উচ্ছে ৬০ টাকায়, লাউ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাজারে। আবার মটরশুঁটির দাম কেজি প্রতি ৩০০ টাকা। সবচেয়ে বেশি ঝাঁঝ কাঁচালঙ্কায়, এদিন ১০০-১২০ টাকা কেজিও বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন বাজারে। আদা প্রতি কিলো ১২০-১৫০ টাকা। আলুর দামও উর্ধ্বমুখী, জ্যোতি আলু কেজি প্রতি ১২-১৫ টাকা, চন্দ্রমুখী আলু ১৮-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটের উপর মঙ্গলবার এই ছিল শহর ও শহরতলির বাজারে শাক-সব্জির দাম।
লক্ষ্মীপুজোর ভোগে অনেকেই খিচুড়ি দেন। আবার কেউ কেউ বাসন্তি পোলাও বা ফ্রায়েড রাইসও করেন। গোবিন্দভোগ চালের দাম ১০০-১২০ টাকা কেজি হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। বাসমতি চালের দামও বেড়েছে অনেকটা। আবার খিচুরির জন্য প্রয়োজনীয় সোনা মুগ ডাল ১৫০-১৮০ টাকা কেজি। দেবীর প্রসাদের জন্য ফল কিনতে গিয়েও ছ্যাঁকা লাগছে সাধারণ মানুষের। পেয়ারা ৬০ টাকা কেজি, আপেল ১২০ থেকে ২০০ টাকা কেজি, কলা জোড়া ১৫ থেকে ২০ টাকা, লেবু ২০-২৫ টাকা পিস। অপরদিকে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দুধ ও ছানার দাম বেড়েছে। ফলে মিষ্টির দামও উর্ধ্বমুখী। অপরদিকে দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি-সহ নানা এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় ফুল ও সব্জি নষ্ট হয়েছে। ফলে ফুলের বাজারও আগুন। এক সবজি বিক্রেতার কথায়, কিছু করার নেই। এমনই দাম, সব্জি আসছে না। বৃষ্টিতে সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।